এদিকে বলা হয়, বার বার ফোনে চার্জ করলে, ব্যাটারির আয়ুক্ষয় হয়। কখনও হাতের কাছে নিজের ফোনের চার্জার না থাকলে আমরা অন্য কারও কাছ থেকে চার্জার ধার নিয়েও ফোনটি চার্জ করি। কিন্তু জানি না, এর প্রভাব আরও বেশি পড়ে কিনা ব্যাটারির উপর!
যাঁরা এভাবে অন্যের চার্জার ব্যবহার করেন, তাঁদের সতর্ক হওয়া উচিত। এতে ফোনের ব্যাটারি মারাত্মক ভাবে প্রভাবিত হতে পারে।\
advertisement
আরও পড়ুন- একটা ছোট্ট ছিদ্র থাকে ইয়ারফোনের পিছনে, বড় কাজ করে! জানেন সেটা কী?
Accessories.com স্টোরের ‘মাই মোবাইল’-এর মালিক ভরত তিওয়ারি বলেন, স্মার্টফোনের সঙ্গে যে চার্জারটি পাওয়া যায় সেটি দিয়েই সব সময় ফোন চার্জ করা উচিত। যদি অন্য কারও চার্জার ব্যবহার করে ফোন চার্জ করা হয়, তাহলে ফোন গরম হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
ধরা যাক, কারও Vivo ফোনটি ৬৫W চার্জার সাপোর্ট করে, তাহলে তিনি যদি একটি Redmi ফোনের ৪৫W চার্জার দিয়ে চার্জ করেন, তাহলে ফোনটি চার্জ তো হয়ে যাবে, কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই লক্ষ্য করা যাবে এর ব্যাটারি ব্যাকআপে সমস্যা হচ্ছে।
বারবার যদি অন্য কারও চার্জার দিয়ে নিজের ফোন চার্জ করা হয়, তাহলে ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যেতে থাকে। ধীরে ধীরে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যাতে ফোনের ব্যাটারিতে চার্জ আর থাকতেই চায় না। অন্য চার্জার থেকে ফোন চার্জ করলে অনেক সময় ব্যাটারি ফুলে যাওয়ার মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে।
ভরত তিওয়ারি আরও জানান, অনেক সময়ই আমরা ফোনে আগুন ধরে যাওয়ার খবর শুনতে পাই। এটাও হতে পারে ভুল চার্জার ব্যবহারের কারণে।
আরও পড়ুন- দেড়-২ বছর হল ফোন কিনেছেন? এবার এই কাজগুলো করুন, স্মার্টফোন ভাল থাকবে
তবে মনে রাখতে হবে চার্জিং-এর ক্ষেত্রে কোম্পানি নয়, ওয়াটের ক্ষমতাই আসল। যদি অন্য কোম্পানির চার্জার এবং নিজের ফোনের চার্জারের ওয়াট ক্ষমতা একই হয় তবে সেটি দিয়ে ফোন চার্জ করা যেতে পারে। এর ফলে ব্যাটারির কোনও ক্ষতি হবে না।
ইউরোপিয়ন ইউনিয়নের তরফে ‘ওয়ান নেশন, ওয়ান চার্জার’-এর মতো ধারণা বাস্তবায়িত করা হয়েছে। সেখানে একটি চার্জার দিয়েই সমস্ত ডিভাইস চার্জ করা যাচ্ছে। কিন্তু তারপরেও Samsung-এর চার্জার দিয়ে Apple iPhone চার্জ করা যায় না।