হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন! অনেকেই আসলে জানেন না যে, রুম হিটার সারা রাত চালিয়ে রাখলে শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। এমনকী বদ্ধ ঘরে রুম হিটার চালিয়ে রাখলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে! ফলে বোঝাই যাচ্ছে এটা কতটা বিপজ্জনক!
আরও পড়ুনNorth 24 Parganas News: “ও স্যার আমাদের ছেড়ে যেও না!” শিক্ষক বদলিতে কান্নায় ভেঙে পড়ল ছাত্রছাত্রীরা
advertisement
লোকাল ১৮-এর কাছে ডিপার্টমেন্ট অফ রেসপিরেটরি মেডিসিনের চেয়ারম্যান ডা. সূর্য কান্ত বলেন, শীতের মরশুমে ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচতে বদ্ধ ঘরে রুম হিটার এবং ব্লোয়ার চালানো খুবই সাধারণ বিষয়। কারণ স্বাস্থ্যের দিক থেকে এটা একেবারেই নিরাপদ নয়। আসলে যখন বদ্ধ ঘরে হিটার চালানো হয়, তখন ঘরের অক্সিজেনের মাত্রা কমে যায়। উল্টে কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন মনোক্সাইডের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। যা স্বাস্থ্যের পক্ষে হানিকারক।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক আরও বলেন, বর্তমানে এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই)-এর মাত্রা অত্যন্ত বেশি। ফলে এই সময় যে বাতাস আমরা শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে গ্রহণ করছি, সেটা দূষিত। যদি বদ্ধ ঘরে রুম হিটার চালানো হয়, তাহলে তা থেকে কার্বন মনোক্সাইড এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত হয়। স্বাস্থ্যের উপর যার প্রভাব মারাত্মক হতে পারে।
তাহলে হিটার কীভাবে ব্যবহার করা যায়? বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবাবু বলছেন, প্রচণ্ড ঠান্ডা পড়লে তবেই ঘরে রুম হিটার ব্যবহার করতে হবে। বিশেষ করে বাড়িতে শিশু এবং বয়স্করা থাকলে ঠান্ডায় তা ব্যবহার করা উচিত। ঘুমোতে যাওয়ার আগে হিটারটা অন করে দিতে হবে। এরপর ঘরের দরজা বন্ধ রাখতে হবে। ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে গেলে হিটার বন্ধ করে দিতে হবে। এই ভাবেই শীতের দিনে উষ্ণতার আরাম অনুভব করা যাবে।
আসলে হিটার সারাক্ষণ চালিয়ে রাখলে শিশু, বয়স্ক এবং রুগ্ন মানুষেরা আরও অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। এর থেকে বিভিন্ন ধরনের রোগ হতে পারে। সারা রাত রুম হিটার অন রেখে ঘুমোনো একেবারেই উচিত নয়। এমনকী গাড়ির ভিতরেও দীর্ঘ সময় ধরে ব্লোয়ার চালিয়ে রাখা উচিত নয়। আর রুম হিটার থেকে নির্গত কার্বন মনোক্সাইড গ্যাস কিন্তু গন্ধহীন। ফলে তা নীরব ঘাতক হিসেবে কাজ করে।