দ্রুত চার্জ ফুরিয়ে যাওয়ার অনেক কারণ রয়েছে। এর মধ্যে টেকনিক্যাল কারণগুলো সবচেয়ে সাধারণ। স্মার্টফোনের ৫টি ফিচার বন্ধ রাখলেই এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। ব্যাটারির আয়ুও বাড়বে।
স্ক্রিন ব্রাইটনেস: ফোনের ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হল ডিসপ্লের ব্রাইটনেস। অনেকেই ব্রাইটনেস বাড়িয়ে রাখেন। এতে ব্যাটারি বেশি পোড়ে। এটা কমিয়ে রাখলেই অর্ধেক কাজ হয়ে যাবে। চোখও আরাম পাবে। সঙ্গে স্ক্রিন টাইমআউট সেটিংসও কমিয়ে রাখতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুন- এক দিনে ফোন কতবার চার্জ দেওয়া উচিত? অনেকেই নিয়ম জানেন না, রোজ ভুল করেন
ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাপ: এমন অনেক অ্যাপ রয়েছে যেগুলো বন্ধ করলেও ব্যাকগ্রাউন্ডে চালু থাকে। ফলে প্রচুর ব্যাটারি খরচ হয়। তাই প্রত্যেকটা অ্যাপ যথাযথভাবে বন্ধ করা উচিত। এছাড়া অনেক অ্যাপ ব্যাকগ্রাউন্ডে অটো আপডেট হতে থাকে, সেগুলোও বন্ধ করতে হবে।
লোকেশন শেয়ারিং: লোকেশন শেয়ার করার কারণে ব্যাটারি দ্রুত শেষ হয়ে যায়। বিশেষ করে আইফোনে। তাই প্রতিটা অ্যাপেরই লোকেশন শেয়ারিং বন্ধ রাখা উচিত। এর জন্য সেটিংসে গিয়ে প্রাইভেসিতে ঢুকে ‘লোকেশন সার্ভিস’-এ ক্লিক করতে হবে। এরপর “অলওয়েজ’-এর বদলে ক্লিক করতে হবে ‘অ্যাপ ইউজ’ অপশনে। ব্যস, তাহলেই হবে।
ওয়াইফাই অপশন: ফোনে সেলুলার নেটওয়ার্কে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়। ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে কম। এই পরিস্থিতিতে ওয়াইফাই নেটওয়ার্ক থেকে ইন্টারনেট ব্যবহার করলে চার্জ অনেকক্ষণ থাকবে।
পুশ নোটিফিকেশন: ব্রেকিং নিউজ থেকে শুরু করে ডেলিভারি অ্যাপ, ফোনে সারাক্ষণ পুশ নোটিফিকেশন আসতেই থাকে। এর জন্যও অনেক ব্যাটারি খরচ হয়।
আরও পড়ুন- গাড়ির সিট থেকে হতে পারে মারণ রোগ! ভয়ঙ্কর কেমিক্যালের হদিশ! বিস্ফোরক তথ্য
পুশ নোটিফিকেশনে রাশ টানলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। শুধু প্রয়োজনীয় অ্যাপ বা সাইটকেই নোটিফিকেশন পাঠানোর অনুমতি দেওয়া উচিত। এতে শুধু চার্জ বাঁচবে তাই নয়, সারাক্ষণ নোটিফিকেশন দেখার ঝঞ্ঝাট থেকেও মুক্তি মিলবে।
