এক্ষেত্রে নতুন POBG মোডে একটি ম্যাপ রয়েছে। এই ম্যাপের নাম ক্যাঙ্গারু (Kangaroo)। স্পুফ ভার্সনে PUBG ইউনিভার্সের মধ্যে একটি নতুন গল্প তৈরি করা হয়েছে। যেখানে কিছু ক্ষিপ্ত মুরগি ও মানুষ দেখা যাচ্ছে। এদের প্রত্যেকের হাতেই বন্দুক রয়েছে। রয়েছে PUBG গেমের সেই চেনা হেলমেটও। মুরগি ও মানুষ যেন একে অন্যের থেকে বাঁচার জন্য তীব্র চেষ্টা চালাচ্ছে। এক্ষেত্রে একজন ব্যবহারকারীই মাউস ও কি-বোর্ডের সাহায্যে উপভোগ করতে পারবেন এই PUBG ইউনিভার্সকে। স্পুফ ভার্সনটিতে যেন একটু অন্য বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। একটি আলাদা জগৎ তৈরি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এখানে PUBG বিজয়ীরা চিকেন ডিনার পান না। উলটে ক্ষিপ্ত মুরগির হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে হয় মানুষজনকে। না হলে মুরগিদের ডিনার হয়ে যাবেন মানুষজন।
advertisement
বলা বাহুল্য, PUBG ভক্তদের খুব একটা খুশি হয়ে লাভ নেই। এ নিয়ে অধিক উচ্চাশারও কোনও কারণ নেই। কারণ আদতে POBG ক্যাঙ্গারু ম্যাপ (POBG Kangaroo map) থাকবে কি না, সে নিয়ে একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। টেক এক্সপার্টদের কথায়, এটি লিমিটেড এডিশন মাত্র। শুধুমাত্র এপ্রিল ফুল ডে স্পুফ। তাই এ নিয়ে অধিক জল্পনার কোনও লাভ নেই।
প্রসঙ্গত, এখনও PUBG গেমের আশায় অপেক্ষারত ভারতীয় গেমাররা। ভারত-চিন সীমান্ত সংঘর্ষের সূত্র ধরে ২ সেপ্টেম্বর তথ্য লেনদেন, তথ্য ফাঁস ও তথ্য চুরির যোগে ব্যান হয়ে যায় ১১৮টি অ্যাপ। সেই সূত্র ধরে ব্যান হয়েছিল PUBG গেমও। এক্ষেত্রে তথ্য গোপনীয়তা ও সুরক্ষা নিয়ে অভিযোগ ওঠে। ইনফরমেশন টেকনোলজি অ্যাক্টের ৬৯ A ধারার অধীনে অ্যাপগুলি নিষিদ্ধ করা হয়। এর পর থেকে একাধিক জল্পনা তৈরি হয়। প্রথমে শোনা যাচ্ছিল, ডিসেম্বরের শুরুতেই আসতে চলেছে গেম। সেই কথা মাথায় রেখে নভেম্বরে টিজার লঞ্চ হয়। তার পর সব কিছু থেমে যায়। বিপরীত পরিস্থিতিতে ভারতের জন্য নিজস্ব ভার্সন তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেয় PUBG কর্পোরেশন। কিছু প্রতিবেদন সূত্রে জানা যায়, মূলত ভারতীয় গেমারদের কথা মাথায় রেখেই এই গেম ডিজাইন করা হয়েছে। তাই গেমটির নাম দেওয়া হয়েছে PUBG Mobile India। এর পর জানুয়ারি মাসে গেম লঞ্চ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে ওঠে। কিন্তু তা জল্পনা হয়েই রয়ে গিয়েছে। আপাতত গেম রি-লঞ্চ নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করছে না দেশের সরকার। সূত্রে খবর, গেম রিলঞ্চ নিয়ে PUBG India কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কোনও রকম বৈঠকই করতে চায়নি কেন্দ্রীয় তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রক।