সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দিল্লির ভারত মণ্ডপে ‘পরীক্ষা পে চর্চা’র সপ্তম ভাষণ দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানে, প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা যোদ্ধাদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন এবং তাদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেন। এর মধ্যে রয়েছে মোবাইল ফোনের ব্যবহার, পিতামাতা-সন্তানের সম্পর্ক, এবং নানা বিষয়ের মধ্যে একটি নির্দিষ্ট স্ট্রিম বেছে নেওয়া। মোবাইল ফোনের ব্যবহার সম্পর্কে কথা বলার সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেছিলেন “অতিরিক্ত সবকিছুই খারাপ” এবং শিক্ষার্থীদের তাদের স্ক্রিন টাইম কমানোর পরামর্শ দেন তিনি।
advertisement
প্রধানমন্ত্রীর এই মূল্যবান পরামর্শ কাজে আসবে সকলেরই। তিনি এর জন্য শিক্ষার্থীদের স্ক্রিন টাইম অ্যালার্ট টুল ফোনে যোগ করার পরামর্শ দিয়েছেন। এও জানিয়েছেন যে তিনি নিজেও একমাত্র প্রয়োজন ছাড়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। এ ছাড়া তিনি অভিভাবকদের জন্য ফোনে পাসওয়ার্ড দিয়ে রাখার পরামর্শও দিয়েছেন, যাতে ফোনের অবাধ ব্যবহার বন্ধ হয়।
আরও পড়ুন: ১ ঘণ্টার বউ! স্বপ্নপূরণের আগেই স্বামীহারা, নিয়তির ‘অদ্ভুত’ অভিঘাত, চোখে জল আনা মর্মান্তিক ঘটনা
“শুধু মোবাইল নয়, অতিরিক্ত কিছুই কারও কোনও উপকার করে না। সব কিছুর একটা মান থাকতে হবে, তার একটা ভিত্তি আছে। কোন জিনিস কতটা ব্যবহার করা উচিত সে সম্পর্কে বিচক্ষণতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের প্রযুক্তি থেকে পালানো উচিত নয় বরং এটিকে ইতিবাচকভাবে ব্যবহার করা উচিত,” বলেছেন তিনি। “গ্যাজেটগুলি ব্যবহার করার সঙ্গে টাইম-ট্র্যাকিং টুল এবং অ্যাপ্লিকেশনগুলি থাকা উচিত৷ নিশ্চিত করুন যে আপনার গ্যাজেটগুলিতে এমন অ্যাপ রয়েছে যা আপনার স্ক্রিনের সময় ট্র্যাক করে”, বলতে ভোলেননি মোদি।
এর পাশাপাশিই প্রধানমন্ত্রী মানসিকতার এক অতি গুরুত্বপূর্ণ দিকও উল্লেখ করেন। বলেন, বেশিরভাগ সময়েই শিক্ষার্থীরা প্রত্যাশার অভিঘাতে সামর্থ্যের বাইরে চাপ নিয়ে ফেলে। এটা কখনওই করা উচিত নয়। বরং, প্রথমে ছোট লক্ষ্য স্থির করা উচিত। এভাবে একটা করে ছোট লক্ষ্য পূরণ করতে করতেই তৈরি হওয়া যাবে বড় কিছুর জন্য, জানিয়েছেন তিনি।
প্রায় ২ কোটি শিক্ষার্থী, অভিভাবক এবং শিক্ষক এই ইভেন্টে অংশ নেন। ইভেন্টের পরে, মোদি অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত ছাত্রদের শুভেচ্ছা জানান।