আসলে অনেক সময় এমন পরিস্থিতি আসে, যখন একবার বাইক চালানোর পর আবার কোনও কারণে মাসের পর মাস বাইক চালানো হয় না। আর এমন পরিস্থিতির উদ্রেক হলে কী করণীয়? এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি সকলের জেনে রাখা উচিত। কারণ বেশিরভাগ মানুষই যেটা জানেন না, সেটা হল – বাইকে থাকা জ্বালানি কিন্তু নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তারপর তা ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে উঠতে পারে।
advertisement
পুরনো জ্বালানি ব্যবহার করে বাইক চালালে কী হতে পারে?
ধরা যাক, মাসের পর মাস বাইক চালানো হল না। আর দীর্ঘদিনের অব্যবহারের ফলে ট্যাঙ্কারে পড়ে থাকে আগের বারের ভরানো জ্বালানি। এবার যদি সেই পুরনো জ্বালানি ব্যবহার করে বাইকটি চালানো হয়, তাহলে এতে বাইকের ইঞ্জিনের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে তে পারে। যদি এই বিষয়ে না জানা থাকে, তাহলে এখনও বিশদে জেনে নেওয়া আবশ্যক।
আরও পড়ুন- জীবনের প্রথম বাইক কিনবেন ভাবছেন? ঠিক মডেল না বাছলেই মুশকিল, রইল টিপস
একটি বাইকের ট্যাঙ্কে পেট্রোল কত দিন রাখা যেতে পারে?
বাইকের ট্যাঙ্ক যদি জ্বালানিতে পূর্ণ থাকে, তাহলে সেক্ষেত্রে বাইকটি ক্রমাগত ব্যবহার করা উচিত। আর সেটা একান্তই করা না গেলে বাইকে কম জ্বালানি ভরাতে হবে। কারণ আবহাওয়া বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বাইকের ট্যাঙ্কে থাকা জ্বালানির উপরেও প্রভাব বিস্তার করে। এমন পরিস্থিতিতে রিঅ্যাকশনের কারণে ট্যাঙ্কে থাকা জ্বালানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
তাই বাইকের ট্যাঙ্কে পেট্রোল যাতে এক সপ্তাহ বা ১০ দিনের বেশি ভরা না থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অর্থাৎ ৭-১০ দিনের বেশি ট্যাঙ্কারে তেল ভরা অবস্থায় বাইক ফেলে রাখা চলবে না। কারণ যদি ওই সময়সীমার পরে সেই পেট্রোল ব্যবহার করা হয়, তাহলে তা ব্যবহারকারীর বাইকের ইঞ্জিন এবং এর পারফরম্যান্সের জন্য খুবই ক্ষতিকর বলে প্রমাণিত হতে পারে।