কী ভাবে তা সম্ভব হল, জানার জন্য একটু বৈজ্ঞানিক তথ্যের দিকে চোখ রাখতেই হবে।
গবেষকরা জানাচ্ছেন, আলট্রাসাউন্ড শনাক্ত করার জন্য অনেক দিন ধরেই ব্যবহার করা হচ্ছে পিজোইলেকট্রিক পদ্ধতি। এর আকার যত কমানো হয়, রেজোলিউশনও তত ভালো হয়। কিন্তু এর একটা সমস্যাও রয়েছে। খুব ছোট হয়ে গেলে এক জায়গায় এসে পিজোইলেকট্রিকের সংবেদনশীলতা কাজ করে না। মানেটা সাফ- তখন সে কাজ করাই বন্ধ করে দেবে।
advertisement
তা হলে কী ভাবে এত ছোট যন্ত্রে অসম্ভবকে সম্ভব করা গেল?
রহস্য লুকিয়ে আছে সিলিকন ওয়েভগাইড-ইলাটন ডিটেক্টর বা এসডব্লিউইডি পদ্ধতিতে। যা তৈরি হয়েছে সিলিকন চিপের শীর্ষে একটি ক্ষুদ্র ফোটোনিক সার্কিটের উপর ভিত্তি করে।
'নেচার' পত্রিকায় এ নিয়ে যে প্রবন্ধটি বেরিয়েছে, তার সহকারী লেখক এবং গবেষকদের অন্যতম রামি স্নেইডারম্যান তাই দাবি করছেন- মানুষের রক্তকোষের চেয়েও ছোট এই যে যন্ত্র, তা সিলিকন ফটোনিক্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে আলট্রাসাউন্ড শনাক্ত করতে পারবে।
পাশাপাশি, গবেষক দলের প্রধান ভাসিলিস এনটিজিয়াক্রিস্টোসের দাবি, তাঁরা শুধু যন্ত্রটি উদ্ভাবন করেই চুপ করে বসে থাকবেন না। একে আরও নিখুঁত করার জন্য যা যা দরকার, সবই করবেন তাঁরা। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসাক্ষেত্র এবং গবেষণার কাজে যন্ত্রটি কাজে এলেও ভবিষ্যতে যে শিল্পক্ষেত্রেরও সহায়ক হবে না- এমনটা এখনই জোর দিয়ে বলা যাবে না।
স্বাভাবিক ভাবেই নতুন এই আবিষ্কার নিয়ে এখন একই সঙ্গে রীতিমতো তৃপ্ত এবং উত্তেজিত ভাসিলিস এনটিজিয়াক্রিস্টোস। কেন না, সিলিকন ফটোনিক্স ব্যবহার করে নতুন যন্ত্রের ক্ষেত্রে উচ্চ সংবেদনশীলতা ঠিক রেখেও যে প্রত্যাশা মতো পর্যায়ে যন্ত্রটিকে ছোট করা গেছে, তা অবিশ্বাস্য। কিন্তু বিজ্ঞানের জগতে অসম্ভব বলে যে কিছু হয় না, তা বিজ্ঞানীদের চেয়ে ভালো আর কে বা জানেন!