সিইও পদে নির্বাচিত হওয়ার জন্য পরাগকে অভিনন্দন জানিয়েছেন জ্যাক ডর্সি। এদিন জ্যাক নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই খবর জানিয়েছেন যে তিনি পদত্যাগ করেছেন। এবং সেই সঙ্গে জানিয়েছেন যে তাঁর জায়গায় বসতে চলেছেন পরাগ আগরওয়াল। পারগকে নিয়ে তিনি লেখেন, 'ট্যুইটারের সিইও হিসাবে পরাগকে আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি। গত ১০ বছরে ধরে ও যে কাজ করছে তা 'ট্রান্সফরমেশনাল'। এবার সময় হয়েছে ওর নেতৃত্ব দেওয়ার।' তিনি আরও বলেছেন যে, রাগের উপস্থিতির কারণে তিনি নিশ্চিন্ত ভাবে পদ থেকে ইস্তফা দিতে পেরেছেন। 'তার কোম্পানির বোঝাপড়ার কারণে পরাগ আমারও পছন্দের সিইও। প্রতিটি কঠিন সিদ্ধান্তের পিছনে পরাগ ভূমিকা রেখেছেন এবং সেই কারণেই কোম্পানিটি আজ এখানে দাঁড়িয়ে আছে।'
advertisement
আরও পড়ুন - ট্যুইটার থেকে ইস্তফা দিলেন জ্যাক ডর্সি, নতুন সিইও ভারতীয় বংশোদ্ভূত পরাগ আগরওয়াল
জেনে নিন পরাগ আগরওয়ালের সম্পর্কে ১০টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়...
১। পরাগ আগরওয়াল আইআইটি বম্বে থেকে কম্পিউটার সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বি.টেক করেছেন।
২। আইআইটি বোম্বে থেকে পড়াশোনা করার পর, তিনি আমেরিকার স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্সে পিএইচডি করেছেন।
৩। পরাগ এর আগে মাইক্রোসফট রিসার্চ এবং ইয়াহু রিসার্চে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
৪। ২০১১ সালের অক্টোবরে পরাগ যোগ দেন ট্যুইটারে। বলা হয়, ট্যুইটারকে জনপ্রিয় করতে পরাগের অবদান অনেক। জ্যাক ডর্সি নিজেই তার পদত্যাগে কঠিন সিদ্ধান্তে পরাগের ভূমিকা উল্লেখ করেছেন।
৫। প্রথমে তিনি ডিস্টিনগুইশড সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। পাশাপাশি তাঁকে গ্রাহক ও কোম্পানির আয়-ব্যয় ও সায়েন্স টিমের সঙ্গেও কাজ করতে হয়।
৬। পরাগের কাজের কারণে কোম্পানি ২০১৬ এবং ২০১৭ সালে অসাধারণ দর্শক বৃদ্ধি পায়।
৭। ২০১৮ সালে, ট্যুইটার পরাগকে কোম্পানির সিটিও পদে নিযুক্ত করেছিল।
৮। সিটিও হিসাবে, পরাগ কোম্পানির প্রযুক্তিগত কৌশল, মেশিন লার্নিং, আর্টিফিশিয়াল ইনটেলিজেন্সের সম্পর্কে খুঁটিনাটি জানতে হয়।
৯। ২০১৯ সালে, জ্যাক ডর্সি পরাগকে প্রজেক্ট ব্লুস্কাই এর প্রধান করেন। প্রজেক্ট ব্লুস্কাই ট্যুইটারে ভুল তথ্যের বিরুদ্ধে তৈরি করা হয়েছিল।
১০। ২৯ নভেম্বর ২০২১-এ জ্যাক ডর্সি পদত্যাগের পর পরাগ এখন ট্যুইটারের নতুন সিইও হয়েছেন।