একটি রিপোর্টে জানা গিয়েছে, এটি একটি শক্তিশালী স্পাইওয়্যার। যার দ্বারা যে কোনও কারও ফোনে ২৪ ঘণ্টা গোপন নজরদারি চালানো যায়। সংশ্লিষ্ট ফোন থেকে পাঠানো মেসেজ, ছবি বা ফোন কলের মধ্যেকার কথোপকথন ব্যবহারকারীর অজান্তেই কপি করে পাচার করার ক্ষমতা রাখে পেগাসাস। এমনকী ফোনের ক্যামেরা ও স্পিকারের সাহায্য যখন-তখন যে কোনও কিছু রেকর্ড করতে পারে। এছাড়াও ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করার ক্ষমতা রাখে। এর ফলে ফোন সহ ব্যবহারকারী কখন কোথায় যাচ্ছে তা ধরে ফেলা যায়। এক কথায় ফোন সংক্রান্ত ও ব্যক্তিগত যাবতীয় তথ্য ফাঁস হয়ে যায় জনসমক্ষে।
advertisement
গবেষকরা পেগাসাসের প্রথম ভার্সনটি আবিষ্কার করেছিলেন ২০১৬ সালে। যেপদ্ধতিতে ফোনগুলিকে হ্যাক করা হত, তাকে বলা হত স্পিয়ার ফিশিং। এই পদ্ধতিতে ফোনে টেক্সট মেসেজ বা ইমেইলে একটি লিঙ্ক পাঠানো হত। যেই লিঙ্কে ক্লিক করলেই নির্দিষ্ট ব্যক্তির ফোন পেগাসাসের দখলে আসত। তবে বর্তমানে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠেছে এনএসও গ্রুপের তৈরি এই সফটওয়্যার। এখন আর ব্যবহারকারীকে কোনও লিঙ্ক পাঠানো হয় না। টার্গেটের অনুমতি ছাড়াই ফোনে নজর রাখতে পারে পেগাসাস স্পাইওয়্যার। এই পদ্ধতিকে বলা হয় জিরো ক্লিক (Zero Click)। যার মানে কোনও লিঙ্কে ক্লিক করার প্রয়োজন পড়ে না আজকাল।
২০১৯ সালে WhatsApp প্রকাশ করেছিল এই সফটওয়্যার ১৪০-র বেশি মানুষের ফোন নিজের আয়ত্তে এনেছিল নির্দিষ্ট ব্যক্তির অনুমতি ছাড়াই। একটি WhatsApp কলের মাধ্যমে টার্গেটের ফোনে ইনস্টল করা হত এই স্পাইওয়্যার। এমনকি WhatsApp কল যদি কেউ না-ও ধরে, সেক্ষেত্রেও পেগাসাস নিজের হাতে নিতে পারে ফোনের সমস্ত তথ্য। এই সব নিয়ে বিভিন্ন ফোন প্রস্তুতকারী সংস্থারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছে। এখনও কিছু সমাধান বের করা সম্ভব হয়নি। যদিও Apple কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে খুব তাড়াতাড়ি কিছু একটা সমাধান সূত্র বের করা হবে। অন্য ফোনের ভবিষ্যৎ এক্ষেত্রে কী, তা আপাতত শুধুই বিতর্ক জাগাচ্ছে!