কিন্তু ভারতের ডিরেক্টরেটের তরফে জানানো হয়েছে Vivo-র কিছু কর্মী, যার মধ্যে চিনারাও রয়েছেন, তাঁরা সেই তদন্তে কোনও রকম সাহায্য করছেন না। কয়েকজন কর্মী রেডের সময় বিভিন্ন ধরনের নথি লোকানো শুরু করেন এবং ডিজিটাল ডিভাইসের তথ্য মুছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এছাড়াও জানা গিয়েছে যে, রেডের সময় প্রায় ২ কেজি গোল্ড বার এবং নগদ কিছু টাকা পাওয়া গিয়েছে যা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ভারতে অবস্থিত চিনের দূতাবাস থেকে জানানো হয়েছে যে তারা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে স্বচ্ছ ব্যবসার পরিবেশ বজায় রাখার জন্য। বুধবার তারা জানিয়েছে যে, ভারত বিভিন্ন ধরনের চিনা ফার্মের উপরে নজরদারি চালাচ্ছে এবং তদন্ত শুরু করেছে। এর ফলে ভারতে বিদেশি বিনিয়োগ বাধাপ্রাপ্ত হবে এবং বাইরের কোনও কোম্পানিরও ভারতে আসার ক্ষেত্রে সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।
advertisement
আরও পড়ুন - সাবধান! বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার Netflix অ্যাকাউন্ট! কেন জানুন
আরও পড়ুন - ভুলেও এই মেসেজে ক্লিক করবেন না! অনলাইন শপিংয়েও সাবধান! খালি হয়ে যাবে ব্যাঙ্কের সব টাকা!
Vivo ইন্ডিয়ার তরফে অভিযোগ যে তারা ভারতে বিশাল পরিমাণে ক্ষতি দেখিয়ে ট্যাক্স না দিয়ে সেই টাকা চিনে পাচার করছে। তারা তাদের প্রায় মোট সেলের প্রায় ৫০ শতাংশ লুকিয়ে সেই টাকা চিনে পাচার করেছে। এর পরিমাণ প্রায় ১৫.৮২ বিলিয়ন অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১.২৫ ট্রিলিয়ন টাকা। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে Vivo ইন্ডিয়ার উপরে এই তদন্তে শুরু হয়েছিল। এছাড়াও Xiaomi-র ক্ষেত্রেও তদন্ত শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারি মাস থেকে। ইডি এপ্রিল মাসে এদের প্রায় ৭২৫ মিলিয়ন ডলার সিজ করেছে। ২০২০ সালে চিনের সঙ্গে ভারতের সীমান্ত নিয়ে বিবাদের পর থেকেই এই ধরনের তদন্তের সূত্রপাত। ভারতে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিভিন্ন ধরনের চিনা অ্যাপ।
ভারতে Vivo কোম্পানির ১৫ শতাংশ মার্কেট শেয়ার রয়েছে। অন্য দিকে, Xiaomi-র রয়েছে প্রায় ২৪ শতাংশ শেয়ার এবং Samsung-এর রয়েছে ১৮ শতাংশ শেয়ার।
