TRENDING:

Human–Animal communication | প্রিয় পোষ্যের ভাষা এবার পড়তে পারবে মানুষ! এমনই প্রযুক্তির ইঙ্গিত দিলেন ইজরায়েলের গবেষকরা

Last Updated:

Human–Animal communication | ইজরায়েলের গবেষকরা এমন এক কৌশল আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি, যা মানুষ এবং মনুষ্যেতর প্রাণী জগতের যোগাযোগকে আরও উন্নত করতে পারে

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
#নয়াদিল্লি: মনুষ্যেতর প্রাণীর মনের ভাষা পড়ে ফেলবার চেষ্টা সেই কবেই করেছিলেন বাঙালি বিজ্ঞানী প্রফেসর শঙ্কু। তবে তিনি ছিলেন কল্পবিজ্ঞানের নায়ক। আর এ বার সে পথে হেঁটেই বাদুড়ের ভাষা অনুবাদ করে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন তেল আভিভ বিশ্ববিদ্যালয়ের (Tel Aviv University) একদল গবেষক। সম্প্রতি তাঁরা এমন এক কৌশল আবিষ্কার করেছেন বলে দাবি, যা মানুষ এবং মনুষ্যেতর প্রাণী জগতের যোগাযোগকে আরও উন্নত করতে পারে।
advertisement

ডঃ ইয়োসি ইয়োভেল (Dr Yossi Yovel) এবং তাঁর সঙ্গী গবেষকরা সম্প্রতি আলট্রাসোনিক ফ্রিকোয়েন্সি ডিটেকটরের সাহায্যে বাদুড়ের ভাষাকে অনুবাদ করতে সক্ষম হয়েছেন বলে দাবি। তাঁরা মনে করছেন এই যোগাযোগের পদ্ধতি ভবিষ্যতে আরও নির্ভরযোগ্যতা পাবে।

ডঃ ইয়োভেল তার গবেষণা পদ্ধতির ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেছেন, গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বাদুড়েরা যোগাযোগের সময় এক ধরনের মিশ্র-ফ্রিকোয়েন্সি ভাইব্রেশন তৈরি করে যা তাদের চারপাশে প্রতিধ্বনিত হতে থাকে। তার মতে, বাদুড়ের মস্তিস্ক এই প্রতিধ্বনিগুলিকে সংগ্রহ করে এবং “জুম ইন এবং জুম আউট" এর মতো মনে এক ধরণের চিত্র তৈরি করে তা বুঝতে পারে। তবে এই প্রতিধ্বনিগুলি এতটাই অস্পষ্ট যে অন্যদের পক্ষে সাধারণ ভাবে বোঝা সম্ভব নয়।

advertisement

আরও পড়ুন - এর লাভজনক অফার, একবার রিচার্জ করে সারা বছর কলিং, ডেটা ফ্রি!

ইকোলোকেশন (Echolocation) সম্পর্কে বলতে গিয়ে ইয়োভেল জানিয়েছেন, এটি এক ধরনের শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া যা দূরবর্তী বা অদৃশ্য বস্তু শনাক্ত করতে প্রতিফলিত শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে। যদিও বা ইকোলোকেশনের প্রধান কাজ হল সেনসিং, তবে এটি সোশ্যাল ইনফরমেশন বহন করার কাজেও ব্যবহৃত হয়। ডঃ ইয়োভেল আশা প্রকাশ করেছেন যে, যন্ত্রের মাধ্যমে ভবিষ্যতে পশু-পাখিদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনা যেতে পারে।

advertisement

তিনি জানিয়েছে, ‘আমরা কয়েক মাস ধরে বেশ কয়েকটি বাদুড়ের শব্দকে রেকর্ড করেছি। যে প্রেক্ষাপটে বাদুড়দের কণ্ঠস্বর নির্গত হয়েছিল তাও আমরা রেকর্ড করেছি। এর দ্বারা আমরা দেখিয়েছি যে বিভিন্ন পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি কী ভাবে তাদের কন্ঠস্বরে পরিবর্তন আসছে। বিশেষ এই কণ্ঠস্বরটি খাবার নিয়ে লড়াইয়ের সময় নির্গত হয়েছিল, বা অন্য কোনও প্রেক্ষাপটে নির্গত হয়েছিল।’

advertisement

আরও পড়ুন - WhatsApp দিয়ে কী ভাবে ব্যবহার করবেন Digilocker? দেখে নিন এক নজরে

এমনকী গবেষকরা এ-ও শনাক্ত করতে পারছেন যে, বিশেষ সময় যে সকল বাদুড়ের কন্ঠস্বর নির্গত হচ্ছে তারা পুরুষ না নারী। ইয়োভেলের মতে, ‘সাধারণ ভাবে বাদুড়ের নারী ও পুরুষের পার্থক্য বুঝতে পারা খুবই কঠিন। কিন্তু একবার যদি এই মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদমগুলি কোড ও ডিকোড করতে পারি তাহলে আমরা তাদের মধ্যে পার্থক্যও খুঁজে বের করতে পারব।’

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
'এই' ছোট্ট একটি গ্রামে হয় ২৭ টি জগদ্ধাত্রী পুজো, দেখতে হলে যেতে হবে 'নবাবে'র জেলায়
আরও দেখুন

শুধু বাদুড় নয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপে অবস্থিত নাটালি উওমিনির এক বিজ্ঞানী কাকেদের যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়েও গবেষণা করছেন। তিনি মনে করেন যে খুব শীঘ্রই তিনি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (AI) তৈরির মাধ্যমে কাকের ভাষা ডিকোড করতে পারবেন।

বাংলা খবর/ খবর/প্রযুক্তি/
Human–Animal communication | প্রিয় পোষ্যের ভাষা এবার পড়তে পারবে মানুষ! এমনই প্রযুক্তির ইঙ্গিত দিলেন ইজরায়েলের গবেষকরা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল