কিন্তু দিন বদলে গিয়েছে আমূল। এখন শুধু রং মাখলেই তো চলে না। বরং সেই খেলার প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ভিডিও করে রাখা প্রয়োজন। ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া দরকার। ফলে তুমুল রং-বর্ষার মধ্যেও হাতছাড়া করা যায় না ক্যামেরা বা মোবাইল ফোনটি। বিপত্তি সেখানেই। খেলা শেষে গ্যাজেট বেচারাও লাল, নীল, বেগুনি রঙে মাখামাখি। একই অবস্থা হতে পারে হেডফোন, ইয়ারবাড, নেকব্যান্ড, ব্লুটুথ স্পিকারেরও।
advertisement
তাই এই গ্যাজেটগুলিরও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের, ঠিক ত্বকের মতোই। গ্যাজেট থেকে রঙের দাগ তুলতে ব্যবহার করা যেতে পারে—
আরও পড়ুন: চলতে চলতে ফ্যানের স্পিড কমে গিয়েছে? নতুন এর মতো ঝড়ের গতির জন্য করুন এই কাজ
হ্যান্ড স্যানিটাইজার -
অতিমারীর সৌজন্যে এখন ঘরে ঘরে শোভা পায় এই বিশেষ তরল রাসায়নিক। এই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করেই তুলে ফেলা যায় গ্যাজেটের রং-ছোপ। স্যানিটাইজারে তুলো ভিজিয়ে হালতা হাতে ঘষে দিলেই দেখা যাবে রঙের ছোপ হালকা হচ্ছে। এতে ডিভাইসের ক্ষতির সম্ভাবনা কম।
অ্যালকোহল -
স্যানিটাইজারের মূল ভিত্তি হল অ্যালকোহল। তাই গ্যাজেটে রঙের দাগ দূর করতে সরাসরি অ্যালকোহলও ব্যবহার করা যায়।
আরও পড়ুন - দেওয়াল থেকে কতটা দূরে রাখতে হয় ফ্রিজ? ৯৯% মানুষ সঠিক তথ্য জানেন না
সতর্কতা -
রং তোলার সময় প্লাস্টিকের টেপ দিয়ে যে কোনও গ্যাজেটের ছিদ্রগুলি ঢেকে নেওয়া প্রয়োজন। যাতে জ্যাক বা স্পিকার ভেন্ট-এর ভিতরে এই সব তরল ঢুকে যেতে না পারে।
ডিটারজেন্ট -
কোনও ভাবেই রং তুলতে ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা ঠিক হবে। ডিভাইস পরিষ্কার করার জন্য ডিটারজেন্ট বা সাবান জল ব্যবহার করলে তা গ্যাজেটের ক্ষতি করতে পারে। এমনকী একেবারে খারাপও হয়ে যেতে পারে।
তবে সব থেকে ভাল হয় একটু সতর্ক হয়ে রং খেললে। প্রয়োজন হলে ছবি তোলা বা ভিডিও করার সময় রং থেকে দূরে থাকা যেতে পারে। একজোড়া পরিষ্কার গ্লাভস রেখে দেওয়া যেতে পারে রং খেলার এলাকা থেকে একটু দূরে। ছবি তোলার সময় সেটি হাতে হাতে পরে নেওয়া যেতে পারে।
আর যদি ফোন কলের জন্যই শুধু মোবাইলের প্রয়োজন হয় তবে একটি ক্লিয়ার ব্যাগ ব্যবহার করা যেতে পারে।