কানপুরের পাহালওয়ানপুরওয়ায় একটি ফ্রিজে হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। ঘটনায় পরিবারের ৭ জন আহত হন। এঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা গুরুতর। বিস্ফোরণের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, হঠাৎ করে কম্প্রেসার ফেটে যায়। তা থেকেই ধামাকা।
কম্প্রেসার থাকে ইউনিটের পিছন দিকে। পাম্প এবং মোটর নিয়ে গঠিত। এর কাজ হল, কয়েলের মাধ্যমে রেফ্রিজারেন্ট গ্যাসকে ধাক্কা দেওয়া। যখন এই গ্যাসটি ঠাণ্ডা হয়ে তরলে পরিণত হয়, তখন এটি ফ্রিজ ইউনিট থেকে তাপ শোষণ করে এবং ভিতরে থাকা জিনিসগুলিকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুন: একবার বসালে ফুল চার্জ না দিয়ে ফোন তোলেন না? কাজটা ঠিক হচ্ছে তো?
মাঝে মধ্যে রেফ্রিজারেটরের পিছনের দিকটি খুব গরম হয়ে যায় কারণ রেফ্রিজারেন্টটি কম্প্রেসারের মধ্য দিয়ে চলতে থাকে। যখন এটি ঘটে তখন কনডেন্সার কয়েল সঙ্কুচিত হতে শুরু করে। গ্যাস বের হওয়া বন্ধ করে দেয়।
কম্প্রেসার কয়েলে বেশি গ্যাস জমে গেলে চাপের কারণে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। ৮-১০ বছরের পুরনো ফ্রিজে ঝুঁকি বেশি থাকে। এমন পরিস্থিতিতে বিস্ফোরণ ঠেকাতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর কম্প্রেসার কয়েল পরিষ্কার করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়া পাওয়ার প্লাগ ও পাওয়ার সাপ্লাই কর্ডের ত্রুটি, বৈদ্যুতিক তারের ত্রুটি, ফ্যানের মোটর বা কম্প্রেসার ফ্যানের ত্রুটি, ফ্রিজার ক্যাপাসিটরে ত্রুটি, পজিটিভ টেম্পারেচার কোফিসিয়েন্ট রেজিস্টরে ত্রুটি এবং ডিফ্রস্ট টাইমারে ত্রুটির কারণেও বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
ফ্রিজে কোনও ধরনের সমস্যা দেখলে অবিলম্বে পেশাদারকে দিয়ে ঠিক করাতে হবে। সমস্যা বেশি মনে হলে ফ্রিজ বন্ধ করে আনপ্লাগ করে দেওয়াই ভাল। হঠাৎ ভোল্টেজ ওঠা-নামা করলেও রেফ্রিজারেটরের প্লাগ খুলে দেওয়া উচিত।
