অনেকেই হয়তো জানেন না ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিলে অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জড়িত বিভিন্ন তথ্যের আর কোনও নিরাপত্তা থাকে না।
কেউ নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দিলেও ওই অ্যাকাউন্টের সমস্ত ট্যুইট মেনশন অব্যহত থাকবে। শুধু তাই নয়, কোনও ব্যক্তি নিজের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়ার পর যদি সেই একই ইউজার নেম অন্য কেউ ব্যবহার করেন, তা হলে আগের অ্যাকাউন্টের সকল ট্যুইট রেফারেন্স বেরিয়ে আসতে পারে। এই বিষয়টি ট্যুইটারের হেল্প সেন্টার পেজেই উল্লেখ করা হয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার আইডি দিয়ে ক'টা সিম চলছে? জানতে পারবেন এই ওয়েবসাইটে গিয়ে
ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে যে ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করে দিলে সেটি নিজেদের অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার প্রথম ধাপ। সেই ডি-অ্যাক্টিভেশন পদ্ধতি ৩০ দিন পর্যন্ত চলবে। যদি ব্যবহারকারী ৩০ দিনের মধ্যে ডি-অ্যাক্টিভেট করা অ্যাকাউন্ট ব্যবহার না করেন এবং কোনও রকম ভাবেই তা চালু না করেন, তা হলে সেই অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়া হবে। একটানা ৩০ দিনের ডি-অ্যাক্টিভেট পদ্ধতি চলার পর ব্যবহারকারীদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট স্থায়ী রূপে ডিলিট করে দেবেন কর্তৃপক্ষ।
ট্যুইটার তাদের হেল্প সেন্টার পেজে জানিয়েছে যে, ব্যবহারকারীদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করে দেওয়ার পর, সেটি তাদের সিস্টেমে আর পাওয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা আর নিজেদের সেই অ্যাকাউন্ট অ্যাক্টিভ করতে পারবেন না কোনদিন। সেই অ্যাকাউন্ট থেকে করা পুরনো অ্যাকাউন্ট আর দেখতে পাবেন না সেই ব্যবহারকারীরা।
যাঁরা নিজেদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করতে চান, তাঁদের কয়েকটি বিশেষ বিষয় মাথায় রাখতে হবে—
১ - ট্যুইটারের তরফে জানানো হয়েছে যে নিজেদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডিলিট করলে গুগল এবং বিনজের মতো সার্চ ইঞ্জিন থেকে ব্যবহারকারীদের তথ্য মুছে যাবে না। কারণ ট্যুইটার সেই সাইট কন্ট্রোল করে না। অর্থাৎ সেই সকল সার্চ ইঞ্জিনে কানেক্ট করার জন্য কয়েকটি স্টেপ ফলো করতে হবে।
২ - ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করার পর, অন্য ব্যবহারকারীদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টে নিজেদের ইউজারনেম মেনশন হিসাবে বহাল থাকবে। কিন্তু সেটি সেই প্রোফাইলের সঙ্গে আর লিঙ্ক থাকবে না। কারণ সেই প্রোফাইলটি আর পাওয়া যাবে না ট্যুইটারে।
৩ - নিজেদের ট্যুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে জড়িত ইউজারনেম এবং ইমেলের পরিবর্তন করার জন্য সেই অ্যাকাউন্ট ডিলিট করার প্রয়োজন নেই। যে কোনও সময় তা আপডেট করার জন্য অ্যাকাউন্ট ইনফরমেশন অপশনে যেতে হবে।
৪ - ৩০ দিনের ডি-অ্যাক্টিভেশন সময়ের মধ্যে নিজেদের অ্যাকাউন্ট আবার লগইন করলে সেই অ্যাকাউন্ট আবার রিস্টোর হয়ে যাবে।
৫ - ব্যবহারকারীরা ট্যুইটারের ডেটা ডাউনলোড করতে চাইলে সেই অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করার আগেই রিকোয়েস্ট পাঠাতে হবে। নিজেদের অ্যাকাউন্ট ডি-অ্যাক্টিভেট করে দিলে ট্যুইটার সিস্টেম থেকে সেই ডেটা মুছে যায় না।
৬ - ট্যুইটার তার ব্যবহারকারীদের সুরক্ষা প্রদান করার জন্য, ডি-অ্যাক্টিভেট অ্যাকাউন্টের কিছু তথ্য নিজেদের কাছে মজুত রাখে।
