তবে করোনা মহামারী নিয়ে চিকিৎসকরা বারে বারেই জনগণকে অযথা আতঙ্কিত হতে বারণ করছেন এবং উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আজ আমরা এমন কিছু ডিজিটাল ডিভাইসের কথা বলব যা করোনার নতুন ঢেউ থেকে বাঁচতে অপরিহার্য।
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
advertisement
এই ডিজিটাল ডিভাইসগুলির মধ্যে রয়েছে পালস অক্সিমিটার, ইউভি লাইট স্যানিটাইজার বক্স এবং ইনফ্রারেড থার্মোমিটার ইত্যাদি। কেন না, এগুলি করোনার বিরুদ্ধে প্রাথমিক লড়াইয়ে আমাদের সাহায্য করতে পারে। কীভাবে, তা দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে।
পালস অক্সিমিটার
করোনাভাইরাস সাধারণত ফুসফুসে আক্রমণ করে এবং এর কারণে রোগীর শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। পালস অক্সিমিটার শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রদান করে। সাধারণত আমরা আগেও দেখেছি করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়তে থাকলে পালস অক্সিমিটারের চাহিদাও বাড়ে এবং এর দামও বেড়ে যায়। এমন পরিস্থিতিতে আগে থেকেই এই ডিভাইসটি কিনে বাড়িতে রাখা উচিত। পালস অক্সিমিটার রক্তের অক্সিজেনের মাত্রা নিরীক্ষণ করে রোগীর অবস্থা সম্পর্কে আগাম তথ্য দেয়।
আরও পড়ুন - ব্রাইটনেস ভলিউম ফুল রেখে স্মার্টফোন দেখেন? অজান্তেই বিস্ফোরণের সম্ভাবনা ডেকে আনছেন
ইনফ্রারেড থার্মোমিটার
ইনফ্রারেড থার্মোমিটারও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি ডিজিটাল ডিভাইস। সাধারণ থার্মোমিটারের বিপরীতে এটির সাহায্যে সংক্রামিত ব্যক্তির সংস্পর্শে না এসেও শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করা যায়। এর সাহায্যে সহজেই ২ ইঞ্চি দূর থেকেও যে কারও শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা যেতে পারে।
স্যানিটাইজার বক্স
ইউভি লাইট স্যানিটাইজার বক্স ব্যাকটেরিয়া দমন করতে এবং সেইসঙ্গে ব্যাকটেরিয়া দূরে রাখতে সাহায্য করে। ইউভি-সি লাইট যে কোনও জিনিসপত্র থেকে দূষিত পদার্থ ও ব্যাকটেরিয়াদের দূরে রাখে। বাজারে এর মূল্য ২ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। এটি এক ধরনের স্যানিটাইজার বার, যার সঙ্গে ইউভি লাইট যুক্ত থাকে। এই ধরনের আলোকে সাধারণত জীবাণু মারতে পয়েন্ট আউট শ্যুটার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে অবশ্যই ব্যবহারের পরে সর্বদা এটিকে ধুয়ে ফেলা উচিত।
