ফের খুলবে অফিসের দরজা, কাজে আসবেন কর্মীরা নিয়মমাফিক। গত দু’বছরের বাড়ি থেকে কাজ করার অভ্যেস এ বার বদলাতে চলেছে। সম্প্রতি Google ঘোষণা করেছে যে, আগামী মাস থেকেই তাদের কর্মীরা অফিসে ফিরবেন। এক ধাপ এগিয়ে Apple অফিসের ভিতরে মাস্কের কড়াকড়ি শিথিল করতে চাইছে। Twitter-এর CEO পরাগ আগরওয়াল সম্প্রতি ঘোষণা করেছেন যে, তারা অফিসে ফিরছেন আর ব্যবসায়িক কাজে বাইরে যাওয়াও শুরু হচ্ছে ১৫ মার্চ থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন - WhatsApp Group Polls Feature: এ বার ভোটাভুটিতে জমবে WhatsApp, আসছে নতুন ফিচার
অন্য অনেক অফিসের সঙ্গেই খুলে যাচ্ছে প্রযুক্তিগত সংস্থা গুলিও। সারা বিশ্বের তাবড় tech giant-রা কী ঘোষণা করেছে দেখে নেওয়া যাক এক ঝলকে।
১। গুগল (Google): গত সপ্তাহেই গুগল ঘোষণা করেছিল যে তারা work from home এর পরিবর্তে ফের অফিস থেকে কাজের পদ্ধতিতে ফিরতে চাইছে। ৪ এপ্রিলের সপ্তাহ থেকেই US-এর প্রধান কার্যালয়-সহ অন্যত্র কাজ শুরু করে দেওয়া হবে বলে জানান হয়েছে। সংস্থার vice president of global benefits-এর তরফে সংস্থার কর্মীদের কাছে ই-মেল মারফৎ জানান হয়েছে যে, প্রধান কার্যালয় ছাড়া আমেরিকা-সহ সারা বিশ্বের অন্য অফিসগুলিতে কর্মীদের ফিরতে হবে, তবে তা অবশ্যই স্থানীয় পরিস্থিতির বিবেচনা করে। গুগল চাইছে কর্মীরা সপ্তাহে অন্তত তিনদিন অফিসে এসে কাজ করুন। বাকি দু’দিন বাড়ি থেকে কাজের সুবিধা দেওয়া যেতে পারে।
২। অ্যাপল (Apple) : সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি Apple-এর CEO টিম কুক বলেছেন, আগামী ১১ এপ্রিল থেকে তাদের কর্পোরেট টিমের কর্মীরা অফিসে ফিরবেন। অন্য কর্মীরা ওই দিন থেকে অন্তত সপ্তাহে একদিন অফিসে আসবেন। পরে ২৩ মে থেকে ওই কর্মদিন বাড়িয়ে সপ্তাহে অন্তত তিন দিন করা হবে।
আরও পড়ুন - Top Smartphones Under Rs 30,000: ৩০ হাজারের নীচে চোখ ধাঁধানো মোবাইল, দেখে নিন তালিকা
৩। ট্যুইটার (Twitter): গত শুক্রবার Twitter-এর CEO পরাগ অগরওয়াল ঘোষণা করেন যে, ১৫ মার্চ থেকে তাদের অফিস খুলে যাবে। তবে কর্মীদের অফিসে এসেই কাজ করতে হবে, এমন ঘোষণা এখনও করেনি ট্যুইটার। শুক্রবার এক ট্যুইটে পরাগ বলেন, কর্মীরা যেখান থেকে কাজ করলে সব থেকে ভাল কাজ করতে পারবেন, তাদের সৃজনশীলতা, উৎপাদশীলতা বাড়বে সেখান থেকেই কাজ করবেন। বাড়ি থেকে কাজ করলেও পুরো সময় কাজ করতে হবে। আমাদের প্রধান বিচার্য বিষয় হল কর্মীদের নিরাপত্তা। তাই তাঁরা কোথা থেকে কাজ করতে পছন্দ করবেন সেটা তাঁরাই সিদ্ধান্ত নেবেন।
৪। মাইক্রোসফট (Microsoft): গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই মাইক্রোসফটের ওয়াশিংটন ও সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়ার অফিস খুলে গিয়েছে। গত মাসে সংস্থার চিফ মার্কেটিং অফিসার ক্রিস ক্যাপোসেলা ওয়াশিংটনে অফিস খুলে দেওয়ার পিছনে একগুচ্ছ কারণ বর্ণনা করেছিলেন। তবে তারাও কর্মীদের কাজের সময়, স্থান নির্বাচনে খানিকটা ছাড় দিতে চাইছেন বলে জানিয়েছে।