প্রতি বছরই বাইকে কিছু নতুন সিস্টেম দেখা যাচ্ছে। আজকাল প্রায় সমস্ত বাইকে কিক স্টার্ট থাকছে না। অর্থাৎ শুধুমাত্র ইলেকট্রিক স্টার্ট সিস্টেম-এর উপর ভরসা করতে হবে।
আরও পড়ুন- এয়ার কুলারে কোন ঘাস ব্যবহার করা হয়? ৯৯% মানুষ সঠিক উত্তর জানেন না
আগে বাইকে ব্যাটারি বা অন্য কোনও সমস্যা ইলেকট্রিক স্টার্ট বিগড়ে গেলে প্রয়োজনে কিক দিয়েও স্টার্ট দেওয়া যেত। তবে এখন বেশিরভাগ বাইকে কোম্পানিগুলি কিক স্টার্ট দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
advertisement
Bajaj Pulsar, KTM, Yamaha's R15 এবং Royal Enfield Classic সহ অনেক বাইকে কিক দেখা যায় না আর। আগে সেলফ স্টার্ট নষ্ট হয়ে গেলে কিক স্টার্ট কাজে লাগত।
প্রশ্ন উঠেছে, কেন কোম্পানিগুলো এমন করছে! যদিও এটি সম্পূর্ণ কারিগরি বিষয়। কিন্তু এখানে আমরা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি।
আসলে আগেকার বাইকে যখন সেলফ-স্টার্ট চালু করা হয়নি, তখন বাইক স্টার্টের পর ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহের কাজটি সম্পূর্ণ যান্ত্রিকভাবে করা হত। অর্থাৎ, আপনি যখন বাইকটি কিক-স্টার্ট করবেন তখন স্পার্ক এবং ক্র্যাম্পের সাহায্যে ইঞ্জিনটি স্টার্ট হয়। এর পর কার্বুরেটরের মাধ্যমে পেট্রোল গিয়ে ইঞ্জিনে পৌঁছত।
আরও পড়ুন- বনবন করে ঘুরেই চলেছে সিলিং ফ্যান? কোন বিষয়ে সতর্ক না থাকলে হতে পারে বিস্ফোরণ
আগে বাইকের লাইট এবং ইন্ডিকেটরগুলিও ইঞ্জিন থেকে উৎপন্ন শক্তি করে চালিত হত। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে বাইক স্টার্ট করার সময় হেডলাইট ধীরে ধীরে জ্বলত এবং বাইকের এক্সিলারেটর দেওয়া হলে আলো আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠত।
আজকের বাইকগুলিতে একটি ফুয়েল ইনজেক্টর সিস্টেম রয়েছে। তাতে ট্যাঙ্ক থেকে ইঞ্জিনে জ্বালানি সরবরাহ করার জন্য একটি মোটর সংযুক্ত থাকে। এই মোটর চলে ব্যাটারি থেকে আসা শক্তিতে। সেক্ষেত্রে ব্যাটারি সম্পূর্ণ ডাউন হয়ে গেলে ইঞ্জিনেও জ্বালানি পৌঁছাবে না। এমন অবস্থায় কিক স্টার্ট দিলে বাইক স্টার্ট হবে না।
এছাড়া আগে বাইকের সেলফ স্টার্ট-এর আয়ু বেশিদিন হত না। তবে এখন সেই সমস্যা মিটেছে। এখন তাই অনেক দামী বাইকে কিক স্টার্টের প্রয়োজনীয়তা নেই। বাইকের এনার্জি রিজেনারেটিভ সিস্টেমের মাধ্যমে এই বাইকের ব্যাটারিগুলি নিজে থেকেই চার্জ হয়ে যায়। যে কারণে ব্যাটারিও খুব কমই ডাউন হয়।