এই গ্রহাণুটির নাম ২০২৪ ওজে২, প্রায় ৩৭ হাজার ৫১০কিলোমিটার তীব্র গতিতে ধেয়ে এলেও তা পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করবে না বলে মত নাসার।
নাসার পপুলেশন ল্যাবরেটরির তরফ থেকে জানানো হয়েছে দুটি গ্রহাণু- ২০২৪ ওই এবং ২০২৪ ওও দুটিই পৃথিবীর কোনও ক্ষতি করবে না। কারণ তীব্র গতিতে ধেয়ে এলেও তা পৃথিবীর প্রায় ৭১ লক্ষ ৬০ হাজার কিলোমিটার দূর থেকেই পেরিয়ে যাবে।
advertisement
আরও পড়ুন: ভবিষ্যতের ফ্যান এটাই! ইলেকট্রিক বিল কমবে, বাজার দখল করছে এই সিলিং ফ্যান
এর আগে অগাস্টের পয়লাতেও খুব কাছ থেকে পর পর দুটি গ্রহাণু পৃথিবীর পাশ দিয়ে চলে যায়। এর আগেও বহু গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে চলে গেছে। তাতে পৃথিবীর ক্ষতি হয়নি। কিছু কিছু গ্রহাণু পৃথিবীর খুব কাছে চলে এলে তাঁকে “নিয়ার আর্থ অবজেক্ট” বা “নিও” বলে অভিহিত করা হয়।
কিন্তু গ্রহাণু আদতে কী?
ছোটখাটো গ্রহের অবশিষ্টাংশকেই গ্রহাণু বলে অভিহিত করা হয়। এই গুলো প্রায় ৪৬০ কোটি বছরের পুরনো গ্রহের অংশ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা এই গ্রহাণুগুলির গতিপথ গুলি নির্ধারণ করেই তা পৃথিবীর পক্ষে ক্ষতিকর কিনা তা নির্ণয় করেন।
এইরকমই একটি গ্রহাণু আজ থেকে ৬৬ লক্ষ বছর আগে পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়েছিল। যার ফলে পৃথিবীর বুক থেকে মুছে যায় এক সময়ে দাপিয়ে বেড়ানো ডায়নোসররা।
সিরিস,ভেস্টা এবং পালাস এই গুলি হল সৌরজগতের অন্যতম পরিচিত গ্রহাণুর নাম। নাসা-সহ অন্যান্য মহাকাশ গবেষণা সংস্থাগুলি নজর রাখে এই ধরনের গ্রহাণুগুলির উপর।
তেমনই নাসার তরফ থেকে জানান হয়েছে, পৃথিবীর পক্ষে এই গ্রহাণু কোনও ধরনের ক্ষতির সম্ভাবনা ডেকে আনবে না।