আপাতদৃষ্টিতে তাঁরা আর পাঁচটা সাধারণ দম্পতির মতোই। কিন্তু প্রেমে পড়ে সীমা অতিক্রম করার এই ঘটনা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। সেই সঙ্গে অনলাইনেও রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নেটিজেনরা এই সুযোগ হাতছাড়া করেননি। সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণ মূর্তির আগে করা সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের প্রসঙ্গ টেনে আনেন তাঁরা। এক সময় ইনফোসিস-কর্তার এই মন্তব্য তীব্র বিতর্কের জন্ম দিয়েছিল।
advertisement
ট্রোলাররা এক মুহূর্ত সময় নষ্ট না করে চড়াও হন কমেন্ট বাক্সে। এক ব্যবহারকারী তো বলেন, “এটা রেলওয়ে এবং বিলিংয়ের সময়ের জন্য তো ক্ষতি… তখন কি ৭০ ঘণ্টার নিয়ম ছিল না???” আর এক নেটিজেন আবার বলেন, “তিনিও কি সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজ করতেন? সেটাই খালি ভাবছি।” তৃতীয় এক ট্রোলার মজাচ্ছলে বলেন, ওটা তো সপ্তাহের নির্ধারিত ৭০ ঘণ্টার কেবলমাত্র ৫৯ ঘণ্টাই ছিল। ওই সপ্তাহটা কতটা অনুৎপাদনশীল ছিল। যা ওই সংস্থার জন্য কতটা আর্থিক চাপ নিয়ে এসেছিল।” অন্য এক হতাশ নেটিজেন অবাক হয়ে বলেন, “কীভাবে আমি নারায়ণ মূর্তির এই বিষয়গুলো আনসাবস্ক্রাইব করব?”
যেদিন থেকে নারায়ণ মূর্তি তরুণদের সপ্তাহে ৭০ ঘণ্টা কাজের পরামর্শ দিয়েছেন, সেদিন থেকেই ঠাট্টার পাত্র হয়ে উঠেছেন তিনি। তীব্র সমালোচনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
তাঁর সাম্প্রতিক বায়োগ্রাফি ‘অ্যান আনকমন লাভ: দ্য আর্লি লাইফ অফ সুধা অ্যান্ড নারায়ণ মূর্তি’-তে ফুটে উঠেছে দম্পতির সম্পর্ক এবং তাঁদের সফরের কথা। এমনকী ওই বইয়ে প্রকাশিত হয়েছে ইনফোসিস প্রতিষ্ঠায় নারায়ণ মূর্তিকে কোন কোনও পারিবারিক চ্যালেঞ্জ পার করতে হয়েছে, সেই বিষয়টাও। ওই বিশাল সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্ত্রী সুধা মূর্তি এবং দুই সন্তান রোহন আর অক্ষতাকে ছেড়ে প্রচুর সময় দিতে হয়েছিল নারায়ণ মূর্তিকে।