তবে যদি ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকে, তাহলে তার মানে কল করা যাবে না এমনটা কিন্তু নয়। অনেকেই জানেন না যে, ওয়াইফাই কলিংয়ের মাধ্যমেও এটি করা সম্ভব। ওয়াইফাই কলিংয়ের ক্ষেত্রে সেলুলার নেটওয়ার্ক ছাড়াই কল করা যায়। অর্থাৎ নিজেদের ফোনে নেটওয়ার্ক না থাকলেও কল করা সম্ভব। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এর সমস্ত খুঁটিনাটি এবং এই পদ্ধতি ব্যবহার করার উপায়।
advertisement
আরও পড়ুন: আপনার হাতের স্মার্টফোনে কতগুলো সেন্সর একসঙ্গে কাজ করে জানেন?
ওয়াইফাই কলিং এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে নিজেদের সিম কার্ডের সেলুলার নেটওয়ার্কের পরিবর্তে, ব্রডব্যান্ড সংযোগের মাধ্যমে যে কারও সঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। এই সুবিধার মাধ্যমে, খুব সহজেই সেই সমস্ত জায়গায় কল করা যেতে পারে, যেখানে সিম কার্ডের নেটওয়ার্ক সঠিকভাবে আসছে না। অর্থাৎ, ওয়াইফাই কলের জন্য সেলুলার নেটওয়ার্কের প্রয়োজন নেই। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক এর সুবিধা এবং এটি ব্যবহার করার উপায়।
এর সুবিধা -
ওয়াইফাই কলিংয়ের সুবিধা হল ব্যবহারকারীরা কম বা শূন্য নেটওয়ার্কেও এইচডি ভয়েস কল করতে পারবেন। তবে এর জন্য তাঁদের ব্রডব্যান্ডে ভাল স্পিড থাকা প্রয়োজন। বেশিরভাগ স্মার্টফোনে এখন ওয়াইফাই কলিং ফিচার রয়েছে। যে কারণে এটি খুব সহজেই ব্যবহার করা সম্ভব।
আরও পড়ুন - পুরুষের পর্দাফাঁস! Facebook-এর এই গ্রুপে ‘ডার্টি সিক্রেট চালাচালি’ করেন মেয়েরা
ওয়াই-ফাই কলিং ফিচার ব্যবহার করার উপায় -
- এর জন্য প্রথমেই নিজেদের স্মার্টফোনের সেটিংসে যেতে হবে।
- এরপর ওয়াইফাই এবং নেটওয়ার্ক বিকল্পটি নির্বাচন করতে হবে।
- এরপর সিম এবং নেটওয়ার্ক সেটিংস নির্বাচন করতে হবে।
- এরপর অ্যাকটিভ সিম নির্বাচন করতে হবে।
- এরপর VoLTE এবং Wi-Fi উভয় কলিং অ্যাকটিভেট করতে হবে।
- এইভাবে ওয়াইফাই কলিংয়ের জন্য ফোনের সেটিংস বাছাই করতে হবে।
সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হল ওয়াইফাই কলিংয়ের জন্য যে কোনও কোম্পানির ব্রডব্যান্ড কানেকশন হলেই কাজ চলবে। অর্থাৎ নিজেদের কাছে অবশ্যই একটি ব্রডব্যান্ড কানেকশন এবং একটি মোবাইল থাকতে হবে, যা ওয়াইফাই কলিং সাপোর্ট করে।