কী এই প্রক্সি ফিচার? আসলে এই ফিচারটির সাহায্যে ব্যবহারকারীরা নিজেদের ফোনে ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই মেসেজ পাঠাতে সমর্থ হবেন। তবে এর জন্য আশেপাশে ইন্টারনেট থাকা খুবই প্রয়োজন। অর্থাৎ ইন্টারনেট পরিষেবা না থাকলে এই ফিচার ব্যবহার করা যাবে না। ধরা যাক, কোনও ব্যবহারকারী কোনও জঙ্গলে আটকে পড়েছেন এবং তার কাছাকাছি কোনও ইন্টারনেট অ্যাক্সেসের জন্য নেটের পরিষেবাও নেই, তাহলে কিন্তু এই প্রক্সির সাহায্যে অ্যাপটি ব্যবহার করা যাবে না।
advertisement
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
অন্যের ইন্টারনেট দ্বারা মেসেজ পাঠানোর সময় নিরাপত্তা কতটা বিঘ্নিত হতে পারে এই প্রশ্ন যাঁদের মনে আসছে তাঁদের জন্য হোয়াটসঅ্যাপ তার ব্লগে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে যে ব্যবহারকারীরা নিরাপদে এবং অবাধে যোগাযোগ করতে পারেন৷ অ্যাপের সঙ্গে কানেকশনের যে অপশন দেওয়া হয়েছে তাকে প্রক্সি সার্ভার বলা হয়। এতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারের গোপনীয়তা এবং নিরাপত্তা কোনও ভাবেই প্রভাবিত হবে না। এক্ষেত্রে ব্যবহারকারীদের মেসেজও এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপ্ট করা থাকবে। ব্যবহারকারীরা এক্ষেত্রে নানান ভলিন্টিয়ার সংস্থা দ্বারা প্রদত্ত প্রক্সি সার্ভার ব্যবহারের সুবিধে পাবেন।
যদি পরিস্থিতি এমন থাকে যেখানে ব্যবহারকারীর ইন্টারনেট অ্যাক্সেস রয়েছে, কিন্তু তাঁর ইন্টারনেট ব্লক করা রয়েছে, সে ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা সোশ্যাল মিডিয়া বা সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে যে কোনও বিশ্বস্ত সোর্স চেক করতে পারেন যা প্রক্সির জন্য তৈরি হয়েছে। তারপর ব্যবহারকারীদের অ্যাপে গিয়ে স্টোরেজ এবং ডেটা থেকে প্রক্সিতে যেতে হবে এবং সেই লিঙ্কটি পেস্ট করতে হবে। লিঙ্কটি পেস্ট করার পরেই ব্যবহারকারীরা নিজেদের ফোন থেকে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মেসেজ পাঠাতে পারবেন।
কোম্পানি বিভিন্ন ভলeন্টিয়ারি সংস্থাগুলিকেও প্রক্সি সার্ভার তৈরির সুযোগ দিয়েছে। তবে সবাই এর অনুমতি পাবে না। এর জন্য ওই সকল সংস্থায় কমপক্ষে একজন ব্যক্তি থাকতে হবে যিনি অন্ততপক্ষে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে জানেন।
প্রক্সি সেট আপ তৈরি নিয়ম
হোয়াটসঅ্যাপ জানিয়েছে যে, পোর্ট ৮০,৪৪৩ বা ৫২২২ সহ সার্ভার ব্যবহার করে প্রক্সি সেট আপ করা যেতে পারে। এর জন্য একটি ডোমেইন বা সাবডোমেইন লাগবে, সেই সঙ্গে স্ক্রিপ্টে উল্লিখিত পোর্টগুলি ব্যবহার করতে হবে।