৫জি পরিষেবা চালু হয়ে গেলেও সব ফোনে এটি চালু করা যাবে না। যে সকল ফোনে ৫জি নেটওয়ার্ক সাপোর্ট রয়েছে, সেই সকল ফোনেই ব্যবহার করা যাবে ৫জি পরিষেবা। কিন্তু, যে সকল ফোন ২জি, ৩জি এবং ৪জি সাপোর্ট যুক্ত, সেই সকল ফোনে সাপোর্ট করবে না রিলায়েন্স জিও এবং এয়ারটেলের ৫জি সার্ভিস। সুতরাং অনেকেই এখন চিন্তিত তাঁরা ৫জি সার্ভিসের সুবিধা নিতে পারবেন কিনা। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নিজেদের ফোনে ৫জি সার্ভিস সাপোর্ট করবে কিনা, তা বোঝার উপায়।
advertisement
নিজেদের ফোনে ৫জি সাপোর্ট করছে কিনা, তা বোঝার উপায় -
স্টেপ ১ - এর জন্য প্রথমেই নিজেদের ফোনের সেটিং অ্যাপ খুলতে হবে।
আরও পড়ুন - Facebook-এ এই ভুলগুলি কখনও করেননি তো? সাবধান হন, নয় তো হাজত বাস পাক্কা
স্টেপ ২ - এরপর নিজেদের ফোনের ওয়াই-ফাই অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অপশনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৩ - এরপর সিম অ্যান্ড নেটওয়ার্ক অপশনে ক্লিক করতে হবে।
স্টেপ ৪ - এরপর সেখানে বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজির লিস্ট দেখতে পাওয়া যাবে। প্রেফারড নেটওয়ার্ক টাইপের অপশনের অধীনে বিভিন্ন ধরনের টেকনোলজির লিস্ট দেখতে পাওয়া যাবে।
স্টেপ ৫ - যদি নিজেদের ফোনে ৫জি সাপোর্ট করে, তা হলে সেখানে ২জি, ৩জি, ৪জি এবং ৫জি দেখতে পাওয়া যাবে।
যে সকল শহরে এয়ারটেল এবং রিলায়েন্স জিও-র ৫জি পরিষেবা চালু করা হয়েছে সেখানে ফোনের ২জি, ৩জি, ৪জি এবং ৫জি অপশনে ক্লিক করলেই ৫জির হাই স্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে।
আরও পড়ুন - ইনবক্স মেমোরি ভর্তি হয়ে গিয়েছে? এক ক্লিকেই মুছে ফেলুন Gmail-র সব প্রোমোশনাল মেল, দেখে নিন কীভাবে
সুতরাং যাঁরা এই ৫জি সার্ভিস ব্যবহার করতে চান তাঁদের ৫জি সাপোর্ট যুক্ত ফোন কিনতে হবে। বর্তমানে এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে যারা ৫জি সাপোর্ট যুক্ত ফোন তৈরি করে। রিয়েলমি এবং লাভা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে যে, তারা লঞ্চ করতে চলেছে ৫জি ফোন। যার দাম হবে ১০,০০০ টাকার মধ্যে।
আজ রিলায়েন্স জিও ৪টি শহরে চালু করেছে তাদের ৫জি সার্ভিস। এই চারটি শহর হল কলকাতা, দিল্লি, মুম্বাই এবং বারানসি। অন্যদিকে এয়ারটেল ইতিমধ্যেই দেশের ৮টি শহরে চালু করেছে ৫জি সার্ভিস। এই ৮টি শহর হল দিল্লি, বারানসি, নাগপুর, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ, মুম্বই, চেন্নাই এবং শিলিগুড়ি। এয়ারটেলের সিইও জানিয়েছেন যে, পুরো ভারতেই তাঁরা ২০২৪ সালের মার্চের মধ্যে চালু করে দেবেন ৫জি সার্ভিস। অন্য দিকে জিও-র ৫জি পরিষেবা সকলের জন্য চালু হতে পারে ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে।