এখন প্রশ্ন হল রিফারবিশড ফোনের সঙ্গে হ্যাকারদের সম্পর্ক কী?
সম্পর্ক খুব সহজ। সাধারণত পুরনো বা ব্যবহার করা ফোনগুলি যখন গ্রাহকেরা সামান্য অসুবিধের কারণে কোম্পানির কাছে ফেরত দেয় তখন স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলি ওই সব ফোনের ক্রিটিক্যাল সিকিউরিটি চেক করে না, বা কোনও রকম আপডেটও করে না। ফলে যে কোনও মুহূর্তে সাইবার অ্যাটাক হতে পারে।
advertisement
সম্প্রতি CNet-এর তরফে প্রকাশিত একটি রিপোর্টে গ্রাহকদের এই বিষয়ে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী বেশির ভাগ ব্যাকডেটেড ফোনগুলিতেই বর্তমান সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ চালানো আর সম্ভব নয়, কেননা WhatsApp-এর মতো অনেক সোশ্যাল মিডিয়াই এখন ব্যাকডেটেড ফোন থেকে অ্যাপ খোলার অনুমতি দেয় না। iPhone5 বা iPhone5c-এর ক্ষেত্রেও বর্তমানে এমনটাই হয়েছে। আগামী অক্টোবর থেকেই এই স্মার্টফোনের সেটগুলি থেকে আর সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার করা যাবে না।
আরও পড়ুন - সাবধান! বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার Netflix অ্যাকাউন্ট! কেন জানুন
আরও পড়ুন - ভুলেও এই মেসেজে ক্লিক করবেন না! অনলাইন শপিংয়েও সাবধান! খালি হয়ে যাবে ব্যাঙ্কের সব টাকা!
এই কারণেই সাইবার বিশেষজ্ঞরা বারবার বলছেন Android বা iOS ব্যাবহারের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের সব সময় আপডেটেড রাখতে হবে এবং লেটেস্ট সিকিউরিটি প্যাচ ইনস্টল করে অজানা থ্রেট থেকে সতর্ক থাকতে হবে। বিভিন্ন স্মার্টফোন কোম্পানি নিজে থেকেই বেশ কয়েক বছর পর পুরনো হ্যান্ডসেট থেকে সিকিউরিটি প্যাচ তুলে নেয়। বিশেষ করে কোম্পানিগুলির হার্ডওয়্যার লিমিটেশনের কারণে তাদের পক্ষে পুরনো স্মার্টফোন সেটে আর সিকিউরিটি প্যাচেস দেওয়া সম্ভব হয় না।
Lookout সিকিউরিটি ইন্টালিজেন্স কোম্পানির প্রধান ক্রিস্টোপ হবেসেন (Christoph Hebeisen) জানিয়েছেন, ‘আমরা গ্রাহকদের সেইসব ফোন ব্যবহার করার পরামর্শ দিই না যে সব স্মার্টফোন সেটে সিকিউরিটি প্যাচ আর কাজ করে না। সিকিউরিটি সাপোর্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পর কয়েক সপ্তাহ, এক মাস বা এক বছর পর্যন্তও অনেকে এই সব সেট ব্যবহার করতে গিয়ে নানা সমস্যায় পড়েন এবং এ থেকে বড় ধরনের হ্যাকিংয়ের সমস্যা হতে পারে।’