কাউন্টারপয়েন্ট রিসার্চ (Counterpoint Research)-এর গ্লোবাল রিফার্ব স্মার্টফোন ট্র্যাকার বলেছে, নতুন ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের দাম এত বেশি যে তা সাধারণ মানুষের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। তাই তাঁদের একটি বৃহত্তর অংশ Apple বা Samsung-এর মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ব্যবহৃত ও মেরামত করা মডেল কেনার কথা ভাবছেন।
কাউন্টার পেয়ন্ট রিসার্চের সিনিয়র অ্যানালিস্ট গ্লেন কার্ডোজার মতে, ট্রেড-ইন (Trade-in) –এর ফলেই প্রাক মালিকানাধীন স্মার্টফোনের সংখ্যা বাড়ছে। অর্থাৎ, ক্রেতা যখন তার পুরনো ফোনটির বদলে (Exchange) নতুন ফোন কেনার ক্ষেত্রে কোনও রকম ছাড় পান, তখনই তৈরি হয় এই ট্রেড-ইন সম্ভার। ২০২১ সালে এ ধরনের ‘সেকেন্ড হ্যান্ড’ স্মার্টফোনের ভাঁড়ারে প্রায় ১০ শতাংশ বার্ষিক বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গিয়েছে। বিশেষত, চিন, ভারত, লাতিন আমেরিকা, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার মতো উন্নয়নশীল বাজারগুলিতে। তবে ভারতে এই বৃদ্ধির হার আরও বেশি প্রায় ২৫ শতাংশ এবং লাতিন আমেরিকায় প্রায় ২৯ শতাংশ। এই বাজার আরও সম্প্রসারিত হবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ অসংগঠিত বাণিজ্য। তা ছাড়া এই পরিসংখ্যানে গ্রামীণ জনসংখ্যা এখনও গণ্য হয়নি।
advertisement
আরও পড়ুন - এই গ্রীষ্মে গরম হয়ে যাচ্ছে সাধের স্মার্টফোন? দেখে নিন গরম থেকে ফোন বাঁচানোর ৫টি উপায়
গবেষক দলের অধিকর্তা জেফ ফিল্ডহ্যাক বলেন, ‘কোভিড ১৯ অতিমারীতে লকডাউন-সহ নানা কারণে যোগানে ঘাটতি থাকায় ২০২০ সালে সেকেন্ডারি মার্কেটে ব্যবসা কমেছিল। কিন্তু ২০২১ সালে বাজারে আবার রমরমা বেড়েছে।’
ফ্ল্যাগশিপ স্মার্টফোনের প্রতি ক্রেতাদের একটা আকর্ষণ রয়েছে। কিন্তু সে ধরণের সর্বাধুনিক ফোনগুলির দাম ভারত এবং লাতিন আমেরিকার দেশগুলিতে বেশ চড়া। ফিল্ডহ্যাকের দাবি, সেখানেই বাজার চাঙ্গা রাখছে মেরামত করা পুরনো ফোনগুলি। তাঁর মতে, নতুন ভার্সনের থেকে প্রায় ৬০ শতাংশ কম দামে পাওয়া ফোনগুলি গ্রাহকদের কাছে প্রায় একই রকম সুবিধা তুলে দেয়। উন্নত প্রযুক্তিতে তৈরি এই হাত ঘুরে আসে ফোনগুলি যথেষ্ট পোক্ত এবং উচ্চমানে, তারই ফলে ক্রেতার কাছে তা আকর্ষণীয়।