আসলে উৎসবের সময়ে বেশিরভাগ ব্র্যান্ড তাদের ফোনগুলি লোকসানে বিক্রি করছে। কিন্তু আর তারা লোকসান গুনতে চায় না। ভারতের টাকার তুলনায় ডলারের ক্রমবর্ধমান মূল্যের সাথে, কোম্পানিগুলি শীঘ্রই গ্রাহকদের কাছে থেকেই বর্ধিত উৎপাদন খরচ তুলতে চাইছে। ৷
আরও পড়ুন - ইনবক্স মেমোরি ভর্তি হয়ে গিয়েছে? এক ক্লিকেই মুছে ফেলুন Gmail-র সব প্রোমোশনাল মেল, দেখে নিন কীভাবে
advertisement
দাম বৃদ্ধির বিশদ বিবরণ এই সপ্তাহে একটি টেলিকম রিপোর্টের মাধ্যমে সামনে এসেছে, সেখানে বলা হয়েছে যে, স্মার্টফোনের দাম ৫ থেকে ৭ শতাংশের মতো বাড়তে পারে। প্রতিবেদনে যোগ করা হয়েছে যে, এর ফলে দেশে বিক্রি হওয়া স্মার্টফোনের গড় দাম ১৭০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। নতুন দাম অক্টোবর-ডিসেম্বরের মধ্যে ঘোষণা করা হবে।
দাম বৃদ্ধির ব্যাপারটা অনেকদিন ধরেই প্রত্যাশিত ছিল, ভারতীয় টাকার মূল্য ডলার প্রতি ৮২ টাকা ছড়িয়ে গিয়েছে৷ এই অস্থির পরিস্থিতিতে ব্র্যান্ডগুলি তাদের আমদানি করা উপাদানগুলির জন্য অতিরিক্ত টাকা গুনতে বাধ্য হচ্ছে। বলাই বাহুল্য তথাকথিত স্থানীয়ভাবে তৈরি ফোনগুলির একটি বড় অংশ আসলে আমদানি করা উপাদানের উপর নির্ভরশীল।
তাই অনেকেই মনে করছেন যে, এই সময়টা একটি নতুন ফোন কেনার জন্য আদর্শ সময়। কোম্পানিগুলো তাদের কাছে আগে থেকে থাকা ফোনই শুধু বিক্রি করছে, যাতে ব্যাঙ্ক অফার থেকে নিজের মুনাফা কামাতে পারে। কিন্তু দেশে আসা নতুন আমদানি করা উপাদানের বাড়তি টাকা কোম্পানিগুলো নিজের বহন করতে চাইবে না। সেই চাপটা গ্রাহকদের পকেটের উপরেই চাপিয়ে দেবে ফোন কোম্পানি।
ইতিমধ্যেই প্রিমিয়াম ফোনের দাম বৃদ্ধি পেতে দেখা গিয়েছে, বিশেষ করে আইফোন এবং আইপ্যাড। শাওমি, রিয়েল মি, ওয়ান প্লাস এবং সামসাংয়ের মতো ব্র্যান্ডগুলি আগামী সপ্তাহে দাম বৃদ্ধির ঘোষণা করতে পারে। এমনিতে ৫ জি ফোন বাজারে আসায় একটি গড় ফোনের মূল্য প্রায় ১৫০০০ টাকায় উঠে এসেছে। সুতরাং, আসন্ন দাম বৃদ্ধি অনেক লোকের ক্ষেত্রে ফোনগুলো আরও দামি করে তুলতে পারে এবং এটি দেশে বিক্রি হওয়া সমস্ত ব্র্যান্ডের জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসাবে দেখা দিতে পারে।