পুরনো ফ্ল্যাগশিপ ফোন কখন কেনা উচিত?
১. যখন সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যায়—
যেমন, ৬০ হাজার টাকায় লঞ্চ করা ফোন ৪৫ হাজার টাকায় পাওয়া গেলে সেটা কিনে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ স্মার্টফোনে যে ফিচার এবং হার্ডওয়্যার পাওয়া যাচ্ছে সেটা অপেক্ষাকৃত নতুন। উদাহরণ হিসেবে Xiaomi 11X Pro ফোনের কথাই ধরা যাক। প্রতিযোগিতামূলক মূল্যের স্ন্যাপড্রাগন 888-চালিত ফোনটি এপ্রিল ২০২১-এ লঞ্চ করার সময় দাম শুরু হয়েছিল ৩৯,৯৯৯ টাকা থেকে। ফোনটি এখম ২৯,৯৯৯ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। এতে এখনও একই স্ন্যাপড্রাগন 888 চিপ এবং অন্যান্য ফ্ল্যাগশিপ-লেভেল স্পেসিফিকেশন রয়েছে। আবার পুরনো One Plus 9 Pro ৮ জিবি র্যাফম+ ১২৮ জিবি, ৪৯,৯৯৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এটা লঞ্চ হয়েছিল ৬৪,৯৯৯ টাকায়।
advertisement
আরও পড়ুন - ভুলেও এই মেসেজে ক্লিক করবেন না! অনলাইন শপিংয়েও সাবধান! খালি হয়ে যাবে ব্যাঙ্কের সব টাকা!
২. ভালো ক্যামেরা চাইলে—
স্মার্টফোনে ভালো ক্যামেরা খুঁজলে পুরনো ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনা লাভজনক। এতে প্রচুর টাকা বাঁচানো যায়। কারণ নতুন মডেলের ফোনের দামের সঙ্গে ক্যামেরার পারফর্ম্যান্স পকেটের উপর চাপ বাড়িয়ে দিতে পারে। ২০২১ সালের Vivo X70 সিরিজটির কথা ধরা যাক। X80 সিরিজে নতুন ক্যামেরা বৈশিষ্ট্য নিয়ে এলেও, X 70-এর ক্যামেরার সঙ্গে তার খুব একটা তফাত নেই। নতুন OnePlus 10 Pro-র ক্ষেত্রেও একই কথা খাটে। এর ক্যামেরাও পুরনো OnePlus 9 Pro-র মতোই। দু’টোই হ্যাসেলব্ল্যাড (Hasselblad) চালিত। বাস্তব-জীবনের ব্যবহারে, দুই প্রজন্মের ফ্ল্যাগশিপ ফোনে ক্যামেরা ব্যবহার করে কোনও পার্থক্য পাওয়া যাবে না। কিন্তু দামে তফাত।
৩. যখন পারফর্ম্যান্স গুরুত্বপূর্ণ নয়—
ফ্ল্যাগশিপ ফোনগুলি যে পারফর্ম্যান্স এবং গতির জন্য পরিচিত তা চিপসেট থেকে আসে। স্ন্যাপড্রাগন 800-সিরিজের মতো এই চিপসেটগুলিতে কখনও কখনও ছোটখাটো আপডেট থাকে। আবার কখনও কখনও আপডেটগুলি বেশ বড়। যেমন স্ন্যাপড্রাগন 865, স্ন্যাপড্রাগন 865+ এবং স্ন্যাপড্রাগন 870-এর মধ্যে পারফর্ম্যান্সের পার্থক্য নেই বললেই চলে। কিন্তু স্ন্যাপড্রাগন 870 এবং স্ন্যাপড্রাগন 888 বা স্ন্যাপড্রাগন 8 জেন 1-এর মধ্যে পার্থক্য তুলনামূলক ভাবে বেশি।
আরও পড়ুন - সাবধান! বন্ধ হয়ে যেতে পারে আপনার Netflix অ্যাকাউন্ট! কেন জানুন
কখন পুরনো ফ্ল্যাগশিপ ফোন কেনা উচিত নয়?
সস্তায় পাওয়া না গেলে কেনা উচিত নয়। যখন ১ বছর আগে বাজারে আসা কোনও ফোন ডিসকাউন্টের পরেও বেশ ব্যয়বহুল, তখন পুরনো ফ্ল্যাগশিপ ফোনের থেকে নতুন মডেল কিনে নেওয়াই ভালো। ‘একটু বেশি টাকা দিয়ে নতুন মডেল কেনাটা ভালো হবে!’ এই চিন্তা মাথায় এলে ফোনের দাম কত কমল সে সব না দেখাই ভালো।