তবে যাঁরা এখনই ৫জি সিম কেনার কথা ভাবছেন, তাঁদের সতর্ক হওয়া দরকার। কারণ এই ৫জি-কে কেন্দ্র করেই বাজারে ছড়াচ্ছে নতুন প্রতারণাচক্র। আসলে, প্রতারকরা বিনামূল্যে নতুন ৫জি সিম কার্ড দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে যে কোনও মানুষের ব্যক্তিগত বিবরণ চুরি করে নিতে চাইছে। আর একবার তথ্য বেহাত হলে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি করা খুবই সহজ।
advertisement
এ থেকে বাঁচতে গেলে কয়েকটি বিষয় জেনে রাখা ভাল—
১. প্রথমেই জেনে রাখা ভাল, ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য কোনও ব্যক্তির নতুন ৫জি সিম-এর প্রয়োজন নেই। কারণ ৫জি নেটওয়ার্ক পুরনো 4G সিমে ব্যবহার করা যেতে পারে। শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ৫জি ক্ষমতা সম্পন্ন হওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: টাকা লেনদেনে ইউপিআই ব্যবহার করেন? এই ভুলগুলি করছেন না তো? জেনে নিন, নয়তো লোকসান!
২. কেউ যদি নতুন ৫জি সিম পাওয়ার নাম করে ব্যক্তিগত তথ্য জিজ্ঞাসা করে তবে তার এক এবং একমাত্র কারণ সম্ভবত প্রতারণাই। এই মুহূর্তে ভারতে ৫জি পরিষেবা চালু করেছে জিও এবং এয়ারটেল। এই দু’টি মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিষেবা দেওয়া সংস্থার তরফেই স্পষ্ট জানান হয়েছে যে, মোবাইলে ৫জি নেটওয়ার্ক ব্যবহার করার জন্য গ্রাহকদের নতুন সিম কার্ড নেওয়ার কোনও প্রয়োজন হবে না।
৩. এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যেখানে জালিয়াতরা গ্রাহকদের এয়ারটেল এবং জিও কাস্টমার কেয়ারের নাম করে কল করে এবং জিজ্ঞাসা করে ৫জি সিম রয়েছে কিনা! উত্তরে বেশির ভাগ মানুষই বলেন ৫জি সিম নেই। ফলে তার পরেই তারা নতুন ৫জি সিম দেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বসে।
৪. এই সব সাইবার অপরাধীরা ৫জি সিম দেওয়ার নামে আধার, ভোটার আইডি, মোবাইল নম্বরের মতো বিশদ বিবরণ ও ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেয়। তারপর খোয়া যেতে পারে ব্যাঙ্কের টাকা।
৫. এই অপরাধীরা বিনামূল্যে আনলিমিটেড ৫জি ডেটা-র সুবিধা দেওয়ার কথাও বলে। আর তারপরেই মোবাইল নম্বর নিয়ে একটি OTP পাঠায়। ওই নম্বর ফাঁস করে দিলেই অনলাইন জালিয়াতি হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত।