সতর্কতা যে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে রক্ষা করতে পারে-
একটু সতর্কতা আপনাকে যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা থেকে বাঁচাতে পারে। যে কোনও ATM থেকে টাকা তোলার আগে, আপনি যে মেশিন থেকে টাকা তুলছেন সেটি সুরক্ষিত কিনা দেখে নিন। এটিএম-এ সবচেয়ে বড় বিপদ কার্ড ক্লোনিং থেকে হতে পারে। জেনে নিন, কীভাবে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে...
advertisement
আরও পড়ুন- Smart Glass লঞ্চ করল Titan, সেলফি তোলার পাশাপাশি শুনতে পারবেন গানও.....
এটিএম মেশিনে কার্ডটি যে স্লটে ঢোকানো থাকে সেখান থেকে হ্যাকাররা যে কোনো গ্রাহকের ডেটা চুরি করতে পারে। তারা এটিএম মেশিনের কার্ড স্লটে এমন একটি ডিভাইস রাখে, যা আপনার কার্ডের সম্পূর্ণ তথ্য স্ক্যান করে। এর পরে, তারা ব্লুটুথ বা অন্য কোনও ডিভাইসঃএর মাধ্যমে ডেটা চুরি করে।
আপনার ডেবিট কার্ডের সম্পূর্ণ অ্যাক্সেস পাওয়ার জন্য, হ্যাকারের কাছে আপনার পিন নম্বর থাকতে হবে। হ্যাকাররা ক্যামেরা দিয়ে পিন নম্বর ট্র্যাক করতে পারে। এই ধরণের চুরি এড়াতে আপনি যখনই এটিএম-এ আপনার পিন নম্বর লিখবেন, অন্য হাত দিয়ে সেটি লুকিয়ে রাখুন। যাতে সিসিটিভি ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা যেতে না পারে।
আরও পড়ুন- সাবধান! কোভিড বুস্টার শট বুকিংয়ে ফাঁকা হয়ে যেতে পারে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট
কার্ড স্লট সাবধানে চেক করুন
আপনি যখন এটিএমে যান, মেশিনের কার্ড স্লট সাবধানে পরীক্ষা করুন। আপনি যদি মনে করেন, এটিএম কার্ডের স্লটে কোনও কারসাজি করা হয়েছে বা স্লটটি ঢিলেঢালা বা অন্য কোনও ত্রুটি রয়েছে তবে সেটি ব্যবহার করবেন না।
সবুজ আলো না থাকলে ঝুঁকি নেবেন না
কার্ড স্লটে কার্ড ঢোকানোর সময় সবুজ আলো চেক করে নেবেন। স্লটে সবুজ বাতি জ্বললে এটিএম নিরাপদ। কিন্তু লাল বা কোনো আলো না থাকলে সেই এটিএম ব্যবহার করবেন না। আপনার ছোট্ট ভুল বড় বিপদ ডেকে আনতে পারে।
আপনি যদি কখনও মনে করেন, হ্যাকারদের ফাঁদে পড়েছেন তা হলে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পুলিশকে সমস্ত তথ্য জানান। আপনার আশেপাশে কারও ব্লুটুথ সংযোগ রয়েছে কি না তাও আপনি দেখতে পারেন, যাতে সেই ব্যক্তির কাছে পৌঁছানো সহজ হয়৷