ডিপফেক ভিডিও-তে খুব সহজেই মুখ অদল-বদল করে নেওয়া যায়। তারপর সেই ভিডিও আসল না নকল তা বিচার করা কঠিন হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: মর্মান্তিক! চলে গেলেন তরুণ গায়ক, মাকড়সার কামড়ে মৃত্যু ডারলিনের, ভয়াবহ ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে
শক্তিশালী কম্পিউটার কৌশল ব্যবহার করে একজনের মুখের সঙ্গে অন্যের মুখ বদলে দেওয়া হয় এই ডিপফেক ভিডিও-গুলিতে। ‘ডিপ লার্নিং’ ব্যবহার করে এই বদল ঘটানো হয়। তাই এর নাম ‘ডিপফেক’।
advertisement
কৃত্রিম মেধা ব্যবহার করে জাল কনটেন্ট এমন ভাবে তৈরি করা হয়, যেন তা একেবারে আসল। ডিপফেক প্রযুক্তি কাল্পনিক ছবি, ‘মর্ফড’ ভিডিও যেমন বানাতে পারে, তেমনই কণ্ঠস্বরও নকল করতে পারে।
তবে শুধু অন্ধকার দিকই নয়। এই প্রযুক্তি আসলে তৈরি হয়েছিল গঠনমূলক কারণেই। এই প্রযুক্তি সাধারণ বিষয়বস্তু তৈরি করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে। অনেক সময়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখা যায় কোনও মণীষীর ছবি হাসছে বা কথা বলছে। এটাও একই কৌশল। কিন্তু সেটা স্বাভাবিক ভাবেই বোঝা যায়। প্রযুক্তি এখন এতই উন্নত হয়ে গিয়েছে যে, আসল নকলের ফারাক করাই মুশকিল হয়ে যাচ্ছে।
তবে ডিপফেক সনাক্ত করা যেতে পারে। দেখে নেওয়া যাক এক নজরে।
– যে কোন AI-জেনারেটেড জাল ভিডিও সনাক্ত করতে হলে নজর রাখতে হবে মুখের নড়াচড়া এবং অভিব্যক্তির দিকে। এগুলি অদ্ভুত হয়ে থাকে।
– শারীরিক ভঙ্গি, শরীরের অনুপাত বা নড়াচড়া অস্বাভাবিক লাগতে পারে ডিপফেক ব্যবহারের ফলে।
– অনেক সময়ই অডিও-র সঙ্গে ভিডিও-তে থাকা ব্যক্তির ঠোঁটের নড়াচড়া মেলে না।
– ভিডিও-টি ব্যক্তির স্বাভাবিক আচরণের সঙ্গে খাপ খায় না।
– উৎস বিশ্বস্ত কি না তা যাচাই করে নিতে হবে।
– অদ্ভুত অস্পষ্টতা বা বিকৃতির দিকে নজর রাখতে হবে।
– ডিপফেক সনাক্তকরণের টুলও রয়েছে।
ডিপফেক থেকে রক্ষা পেতে চাইলে অনলাইনে ব্যক্তিগত তথ্য যতটা কম শেয়ার করা যায় ততই ভাল। বিশেষত, যে সমস্ত ভিডিও ডিপফেক তৈরির জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, এমন ছবি বা ভিডিও অনলাইনে শেয়ার না করাই ভাল। ব্যক্তিগত ডেটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হলে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট ব্যক্তিগত করে রাখাই ভাল।
