এই দেশের ইন্টারনেট কানেকশনের গতিবেগে সাফল্যের অকল্পনীয় ঝড় এনেছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের টেলিকম শাখা রিলায়েন্স জিও। ৫জি পরিষেবা দেশের অনেক টেলিকম অপারেটর সংস্থা দিতে শুরু করলেও প্রশ্ন উঠছে ইতিউতি- আদৌ কি তা প্রত্যাশিত গতি এনে দিচ্ছে? আর ঠিক এই জায়গায় সবার থেকে এগিয়ে রয়েছে রিলায়েন্স জিও, মাথা উঁচু করে সংস্থা সুলভে এনে দিচ্ছে খাঁটি ৫জি পরিষেবা, জিও ট্রু ৫জি কানেকশন ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে দেশের অনেকগুলো প্রান্তে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হল ছত্তিসগঢ়, বিহার আর ঝাড়খণ্ডের নাম।
advertisement
আরও পড়ুন- ইংরেজিতে 'S' দিয়ে শুরু নামের মানুষরা কেমন হন, জেনে নিন অবশ্যই
ছত্তিসগঢ়ের রায়পুর, দুর্গ আর ভিলাই, বিহারের পটনা আর মুজাফফরপুর, ঝাড়খণ্ডের রাঁচি আর জামশেদপুরে মকর সংক্রান্তির দিন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে জিও ট্রু ৫জি পরিষেবা। একই সঙ্গে তা একই দিন থেকে তা সুলভ হয়েছে কর্নাটকের বিজাপুর, উড়ুপি, কলাবুরাগি আর বেলারিতে। মকর সংক্রান্তির দিন থেকে জিও ট্রু ৫জি পরিষেবা পাওয়া যাচ্ছে ওড়িশার রাউরকেলা আর বেরহামপুর, কেরলের কোলম, অন্ধ্রপ্রদেশের এলেরু আর মহারাষ্ট্রের অমরাবতীতে। এভাবেই দেশের ৮ রাজ্যের ১৭ শহরকে পরিষেবার ঐকতানে জুড়েছে জিও ট্রু ৫জি।
পরিষেবার উদ্বোধনে ছত্তিসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বঘেলের কণ্ঠে তাই ধরা পড়েছে আনন্দের সুর। জানিয়েছেন তিনি নির্দ্বিধায়- এই ৫জি পরিষেবা তাঁর রাজ্যের পক্ষে গৌরবের প্রাপ্তি, জনসাধারণকে তা এনে দেবে বিবিধ সুযোগ এবং সুবিধা। তাঁর কথা যে অতিরঞ্জন নয়, উদ্বোধনের পরে জিওর এক প্রদর্শনে প্রমাণিত হয়েছে তা, যেখানে দেখা গিয়েছে স্বাস্থ্য থেকে শিক্ষা ক্ষেত্রে জিও ট্রু ৫জি তথা ইন্টারনেট কতটা উপকার করতে পারে।
সত্যি বলতে কী, জিও ট্রু ৫জি প্রত্যাশিত সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে এই রাজ্যের উন্নয়নী প্রকল্প HEIGHT-এর দিকে। H অর্থে ডেভেলপমেন্ট; E মানে এডুকেশন- সবার জন্য সমান সুযোগ, I প্রতীকায়িত করছে ইনফ্রাস্ট্রাকচারকে যা উন্নতির পরিকাঠামো গড়ে তুলবে, G অর্থে গভর্ন্যান্স- উন্নতিমূলক কার্যকলাপের পর্যবেক্ষণ; H মানে স্বাস্থ্য, যা আদতে সম্পদ এবং T ট্রান্সফরমেশনের সংজ্ঞা। একই সঙ্গে, রাজ্যের ক্ষুদ্র শিল্প এবং চাকরির পরিসরেও নতুন সুযোগ-সুবিধা এনে দিতে চলেছে রিলায়েন্স জিও, সমর্থন করছে মুখ্যমন্ত্রীর নব ছত্তিসগঢ় প্রকল্পকেও।