টিপস্টার মুকুল শর্মা এক্স প্ল্যাটফর্মে দাবি করেছিলেন যে, iQOO 13-র প্রি-অফার প্রাইস ভারতে থাকবে ৫৫০০০ টাকার নীচে। অর্থাৎ এর থেকে স্পষ্ট যে, এই স্মার্টফোনের লঞ্চ প্রাইস ৫৫০০০ টাকার আশপাশে থাকতে চলেছে।
তবে এর সঠিক দাম প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত কিছু জানা যায়নি। কিন্তু মনে করা হচ্ছে, কোম্পানি তাদের লেটেস্ট ফ্ল্যাগশিপ ফোন ৬০ হাজার সেগমেন্টে অন্তুর্ভুক্ত করতে চলেছে। ওই টিপস্টারের দাবি, বেস ভ্যারিয়েন্টটি পাওয়া যাবে 12GB RAM + 256GB স্টোরেজ মডেলে। বলে রাখা ভাল যে, iQOO 12-র দাম ৫২৯৯৯ টাকা বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। তাই নতুন ভার্সনটির দাম ওই একই রকম কিংবা তার থেকে সামান্য বেশি হতে পারে।
advertisement
iQOO 13: ফিচার্স এবং স্পেসিফিকেশন:
চিনে iQOO 13 লঞ্চ করার পরে এর ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাব্য স্পেসিফিকেশনের একটা আন্দাজ পাওয়া যায়। চিনা ভার্সনের মতোই হতে চলেছে এই স্মার্টফোনের স্পেসিফিকেশন।
চিনে iQOO 13-এ রয়েছে একটি ৬.৮২ ইঞ্চি 2K BOE Q10 8T LTPO OLED ডিসপ্লে। ফলে এর রিফ্রেশ রেট ১৪৪ হার্ৎজ। সেই সঙ্গে রয়েছে এইচডিআর সাপোর্টও। এতে আছে লেটেস্ট Snapdragon 8 Elite প্রসেসর। যা ব্যাপ আপ করছে ১৬ জিবি পর্যন্ত LPDDR5x RAM এবং ১ টিবি-র ইউএফএস ৪.০ স্টোরেজ। এর পাশাপাশি, এই ফোনে রয়েছে একটি Q2 গেমিং চিপসেট এবং OriginOS 5 skin আউট অফ দ্য বক্স-সহ সেটি Android 15 দ্বারা চালিত।
এবার আসা যাক ক্যামেরার প্রসঙ্গে। iQOO 13-এ রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটআপ। Optical Image Stabilisation (OIS)-সহ ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি সেন্সর রয়েছে। এর পাশাপাশি রয়েছে একটি ৫০-মেগাপিক্সেল টেলিফটো লেন্স এবং OIS-সহ একটি ৫০ মেগা-পিক্সেল আল্ট্রা-ওয়াইড শ্যুটারও। রিয়ার ক্যামেরা মডিউলটি একটি কাস্টমাইজেবল Energy Halo LED-এর পরিপূরক হয়ে উঠেছে। যা ৬টি ডায়নামিক এফেক্ট এবং ১২টি কালার কম্বিনেশন সাপোর্ট করে। সেলফির জন্য এই ফোনে রয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের একটি ফ্রন্ট-ফেসিং ক্যামেরা।
এখানেই শেষ নয়, এই ডিভাইসে রয়েছে একটি ৬১৫০ mAh ব্যাটারি। যা ১২০ ওয়াট ফাস্ট ওয়ায়্যার্ড চার্জিং সাপোর্ট করে। বায়োমেট্রিক অথেন্টিকেশনের জন্য এই স্মার্টফোনে রয়েছে একটি ইন-ডিসপ্লে আল্ট্রাসনিক ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর। ডাস্ট এবং ওয়াটার রেজিস্ট্যান্সের জন্য এই ফ্ল্যাগশিপ ডিভাইস আসলে IP68 এবং IP69 রেটেড। এছাড়া iQOO 13-এ রয়েছে Wi-Fi 7, Bluetooth 5.4, NFC, GPS, a USB Type-C পোর্টের সাপোর্ট।