বুধবার ২,৮০০ শব্দের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল। ইনস্টাগ্রামে শিশু পর্নোগ্রাফির উপর তদন্ত চালায় স্ট্যানফোর্ড এবং ম্যাসাচুসেটস আমহার্স্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সেই সব তথ্য উদ্ধৃত করে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ‘শিশুকামীরা দীর্ঘদিন ধরেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে এসব কাজকারবার চালাচ্ছে। কিন্তু ফোরাম এবং ফাইল ট্রান্সফারের মতো পরিষেবা এতদিন তাদের কাছে অধরা ছিল। বর্তমানে ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মকে তারা এই কাজে লাগাচ্ছে। এর অ্যালগরিদমই শিশুকামীদের প্রমোট করছে’।
advertisement
এরপরই মারাত্মক অভিযোগ আনা হয়েছে প্রতিবেদনে। লেখা হয়েছে, ‘ইন্সটাগ্রাম শিশুকামীদের একে অপরের কাছাকাছি আসতে সাহায্য করছে। এবং অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌনতায় আগ্রহ আছে এমন ব্যক্তিদের কাছে রেকমেন্ডশন সিস্টেমের মাধ্যমে এই ধরনের কনটেন্ট বিক্রিতে সাহায্য করছে’।
আরও পড়ুন:
এই প্রতিবেদন সামনে আসার পর তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেননি মেটা মুখপাত্র। বরং ঘটনার সাফাই দিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আমরা এই ধরনের কার্যকলাপ আটকানোর চেষ্টা করছি। এই অভিযোগগুলির তদন্ত এবং সমাধানের জন্যে অভ্যন্তরীন টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে’। মেটা স্বীকার করে নিয়েছে যে এর আগে অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌন কনটেন্ট নিয়ে রিপোর্ট করা হয়। কিন্তু সেই সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ হয় মেটা। এক্ষেত্রে সফটওয়্যারের ত্রুটিকেই বলির পাঁঠা করেছে জুকারবার্গের সংস্থা। মেটা মুখপাত্রের কথায়, ‘এই ধরনর অ্যাকাউন্ট সনাক্ত এবং অপসারণের জন্যে বিষয়বস্তু পর্যালোচকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে’।
আরও পড়ুন: হঠাৎ বিকট আওয়াজ! অন্ধকার! দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের ভিতরে ঠিক কী হয়েছিল? ভাইরাল ভয়াবহ ভিডিও
রিপোর্ট অনুসারে গবেষকরা দেখেছেন, অপ্রাপ্তবয়স্ক যৌন কনটেন্ট চালাচালিতে কিছু নির্দিষ্ট হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীরা। যেমন #pedowhore এবং #preteensex। এর আড়ালেই শিশু-যৌন কনটেন্ট বিক্রির বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন এলন মাস্ক। নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে এই রিপোর্টের স্ক্রিনশট পোস্ট করে লিখেছেন, ‘অত্যান্ত উদ্বেগজনক’। তাঁর এই বিবৃতি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলির সম্ভাব্য বিপদ এবং নাবালকদের সুরক্ষার জন্য উন্নত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
