গত সেপ্টেম্বর মাসে রিলায়েন্স জিও-র 4G নেটওয়ার্ক স্পিড প্রায় ১৫ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে বলে জানিয়েছে ট্রাই। আর জিও-র প্রতিদ্বন্দ্বী দুই সংস্থা ভারতী এয়ারটেল (Bharti Airtel) আর ভোডাফোন আইডিয়ার নেটওয়ার্ক স্পিডও অনেকটাই বেড়েছে। সেপ্টেম্বরে এয়ারটেল আর ভোডাফোন আইডিয়ার নেটওয়ার্ক স্পিড যথাক্রমে প্রায় ৮৫ শতাংশ এবং ৬০ শতাংশ বেড়ে গিয়েছে। ট্রাই-এর প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, এয়ারটেল আর ভোডাফোন আইডিয়ার নেটওয়ার্ক স্পিড ছিল যথাক্রমে ১১.৯ Mbps এবং ১৪.৪ Mbps।
advertisement
ট্রাই-এর তরফে জানানো হয়েছে যে, সেপ্টেম্বর মাসে জিও-র ডাউনলোডের গতি ছিল গড়ে প্রতি সেকেন্ডে ২০.৯ মেগাবিট বা ২০.৯ এমবিপিএস (Mbps)। আবার স্পিডচার্টের আপলোড সেগমেন্টে ভোডাফোনের ডেটা স্পিড ছিল ৭.২ Mbps। ট্রাই আরও জানিয়েছে যে, সেপ্টেম্বর মাসে এই তিন বেসরকারি প্রাইভেট টেলিকম অপারেটরের 4G আপলোড স্পিডে অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ভোডাফোন আইডিয়ার আপলোড স্পিড ছিল গড়ে ৭.২ Mbps। সেখানে রিলায়েন্স জিও এবং ভারতী এয়ারটেলের আপলোড স্পিড ছিল যথাক্রমে ৬.২ Mbps এবং ৪.৫ Mbps।
এ বার ডাউনলোড স্পিড আর আপলোড স্পিড-এর বিষয়টা আর একটু সহজ ভাবে বুঝিয়ে বলা যাক। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ইন্টারনেটে যাতে নানা রকম কনটেন্ট দেখতে পান, সেই বিষয়ে সাহায্য করে ডাউনলোড স্পিড। আবার ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা অনেক সময় পছন্দের কোনও ছবি অথবা ভিডিও কাছের মানুষদের বা বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে শেয়ার করে থাকেন। সেই ছবি অথবা ভিডিও পাঠাতে তাঁদের সাহায্য করে আপলোড স্পিড।
আবার অন্য দিকে, সরকারি টেলিকম অপারেটর বিএসএনএল (BSNL)কিছু নির্দিষ্ট জায়গায় 4G পরিষেবা চালু করেছে। তবে ট্রাই-এর চার্টে তার নেটওয়ার্ক স্পিড সম্পর্কে তেমন কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।
কী ভাবে নেটওয়ার্কের গড় গতি হিসেব করে ট্রাই? মাইস্পিড অ্যাপ্লিকেশনের (MySpeed application) সাহায্য নিয়ে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সারা দেশের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। এর পর সেই তথ্যের উপর ভিত্তি করেই নেটওয়ার্কের গড় গতি হিসেব করে ট্রাই।