ডিসেম্বর ২০২৫-এর ঘটনা। চিন থেকে আনা সস্তা যন্ত্রাংশ জুড়ে দামি স্যামসাং ফোন—যেমন আল্ট্রা, ফ্লিপ ও ফোল্ড মডেল তৈরি করা হচ্ছিল। ভিয়েতনাম থেকে আনা ভুয়াে IMEI স্টিকার লাগিয়ে এই ফোনগুলো ৩৫–৪০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল, যেখানে আসল ফোনের দাম ১ লাখ টাকারও বেশি।
পুলিশ দোকানটি থেকে নকল ফোন, ব্যাটারি এবং অন্যান্য যন্ত্রাংশ উদ্ধার করেছে, পাশাপাশি চারজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। অর্থাৎ, নকল ফোন এখন প্রকাশ্যেই দেদার বিক্রি হচ্ছে।
advertisement
এই ফোনগুলো দেখতে একেবারে আসলের মতো হলেও কয়েক দিনের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। কোনও ওয়ারেন্টি পাবেন না, সার্ভিসও পাওয়া যায় না, এমনকী ডেটা লিক হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। কম দামের লোভ বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। তাই ফোন কেনার সময় এই চারটি বিষয় অবশ্যই মনে রাখুন এবং যাচাই করুন ফোনটি আসল না নকল।
শুধু কোম্পানির অফিসিয়াল স্টোর থেকেই কিনুন:
সবসময় ব্র্যান্ডের নিজস্ব স্টোর বা বড় অথরাইজড ডিলারের কাছ থেকে ফোন কিনুন। লোকাল দোকানে অতিরিক্ত ছাড় দেখলে সতর্ক হন।
বক্স ও বিল পরীক্ষা করুন:
প্যাকেজিংয়ের মান ভাল করে দেখুন—লোগো, বানান সব ঠিক আছে কি না যাচাই করুন। আসল বিল নিতে ভুলবেন না।
IMEI নম্বর অবশ্যই যাচাই করুন:
ফোনে *#06# ডায়াল করে IMEI নম্বর দেখুন। সেটি বক্স ও ফোনের সেটিংসের IMEI-এর সঙ্গে মিলিয়ে নিন। এরপর ‘সঞ্চার সাথী’ পোর্টালে যাচাই করুন এটি ডুপ্লিকেট কি না। ফোনের বিল্ড কোয়ালিটিও ভাল করে দেখুন।
সরকারি পোর্টাল থেকে চেক করাই সবচেয়ে ভরসাযোগ্য উপায়:
সঞ্চার সাথী পোর্টাল (sancharsaathi.gov.in) বা CEIR পোর্টাল (ceir.sancharsaathi.gov.in)-এ যান। ‘Know Your Mobile (KYM)’ বা IMEI Verification সেকশনে ১৫ অঙ্কের IMEI নম্বর লিখুন। কখনও কখনও মোবাইল নম্বরে OTP আসতে পারে। যদি স্ট্যাটাসে ‘Genuine’ বা ‘Valid’ দেখায়, তাহলে ঠিক আছে। আর যদি ‘Duplicate’, ‘Blacklisted’ বা ‘Invalid’ দেখায়, তাহলে সেই ফোন কিনবেন না।
আরও পড়ুন- রোজ ১০ কিলোমিটার যাতায়াত করেন, তা হলে কত সিসির বাইক কেনা লাভজনক?
SMS-এর মাধ্যমে যাচাই করুন:
যে কোনো ফোন থেকে SMS লিখুন: KYM <স্পেস> ১৫ অঙ্কের IMEI নম্বর। এটি 14422 নম্বরে পাঠান। রিপ্লাই মেসেজে ফোনটি আসল না নকল, সেই স্ট্যাটাস জানানো হবে।
