মাতিয়াস জানিয়েছেন, হাইফা থেকে রিও ডি জেনিরো হয়ে বেঙ্গালুরু পর্যন্ত ১২টি শহরের ৭০টি রাস্তায় প্রজেক্ট গ্রিন লাইট কাজ শুরু করেছে। তাঁর কথায়, ‘এআই ফিচারকে কাজে লাগিয়ে ৩০ মিলিয়ন গাড়ি চলাচলের সমতুল্য জ্বালানি সাশ্রয় করা সম্ভব। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে দূষণও কমবে’। এই ফিচার শুরু করাও অত্যন্ত সহজ, বড়জোর পাঁচ মিনিট সময় লাগবে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে বিরাট ঘোষণা! উচ্চ প্রাথমিকের কাউন্সেলিং কবে? অবশেষে জানাল SSC
কী ভাবে এই প্রকল্প কাজ করছে: আগেই বলা হয়েছে, প্রজেক্ট গ্রিন লাইট এখন হাইফা থেকে রিও ডি জেনিরো এবং বেঙ্গালুরু পর্যন্ত ১২টি শহরের ৭০টি ইন্টারসেকশনে লাইভ রয়েছে। এখন প্রশ্ন হল, এই প্রজেক্ট কাজ করবে কীভাবে? গুগল আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সকে এবং গুগল ম্যাপের ড্রাইভিং প্যাটার্নকে ব্যাবহার করে ট্রাফিক প্যাটার্ন এবং ট্রাফিক লাইট প্ল্যানকে অপ্টিমাইজ করে।
এখানেই শেষ নয়। মাতিস বলছেন, শুধু একটা চৌরাস্তা নয়, প্রজেক্ট গ্রিন লাইটের মাধ্যমে আশপাশের চৌরাস্তাগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমন্বয় স্থাপন করে শহরের যান চলাচলের উন্নতি ঘটানো যেতে পারে। সেটা কীভাবে? প্রজেক্ট গ্রিন লাইটের মাধ্যমে ট্রাফিক সিগন্যাল বিশ্লেষণ করা যায়। ফলে সেই অনুযায়ী যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে বেশ কয়েকটি রাস্তার সিগন্যাল শুধু সবুজ করে রাখা যায়। এতে স্টপ অ্যান্ড গো ট্রাফিক কমবে। যানবাহন দ্রুত চলবে। সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে। সর্বোপরি দূষণ কম হবে।
মডেলের ভিত্তিতে, গুগল এআই ভিত্তিক অপ্টিমাইজেশন তৈরি করে এবং সেই অনুযায়ী সিটি ইঞ্জিনিয়ারদের সুপারিশ প্রদান করা হয়। যাতে রাস্তার ট্রাফিকে ছেদ না পড়ে। প্রসঙ্গত, ভারতের বেঙ্গালুরু, কলকাতা এবং হায়দরাবাদে প্রজেক্ট গ্রিন লাইট কাজ করছে।