নিষিদ্ধ হওয়ার পরেও, এই অ্যাপগুলির মধ্যে ৪৭টি অ্যাপ ক্লোনিংয়ের পথটি গ্রহণ করে ভারতে চলছিল। টিকটকের বদলে চলছিল TikTok Lite, ক্যামস্ক্যানারের জায়গায় চলছিল Camscanner Advance। এছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে Helo Lite, Shareit Lite, Bigo LIVE lite, VFY lite-এর মতো অ্যাপ। এতদিনএই অ্যাপগুলি ব্যবহার করতে পারছিলেন ভারতীয়রা কিন্তু নিষিদ্ধ হওয়ার পর আর পারবেন না।
advertisement
কিছুদিন আগেই তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক থেকে জানানো হয়ে ছিল যে, যদি সরাসরি অথবা অন্য কোনও ভাবে এই ধরনের কোনও অ্যাপ ভারতে চালানো সম্ভব হয়, তাহলে সেই অ্যাপের বিরুদ্ধে টেকনোলজি আইন এবং অন্যান্য আইনে মামলা রুজু করা হবে। সেই অ্যাপের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবে ভারত সরকার। তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রক প্রত্যেকটি কোম্পানিগুলিকে চিঠি লিখে স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিয়ে ছিল যে এই তালিকায় থাকা কোনও অ্যাপ যদি ভারত সরকারের এই রায় লঙ্ঘন করার চেষ্টা করে, তাহলে সেই অ্যাপ্লিকেশনের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করবে ভারত সরকার।
কী এই ক্লোনিং অ্যাপ ?
ক্লোন অ্যাপ দেখতে একদম ওরিজিনাল অ্যাপের মতোই দেখতে, আর এদের ফাংশনও ওরিজিনাল অ্যাপের মতো কাজ করে। অনেকবার কোম্পানি অফিসিয়ালি নিজের অ্যাপের লাইট ভার্সন লঞ্চ করে থাকে। যা ফোনের স্টোরেজের কথা মাথায় রেখে তৈরি করা হয়। বেশির ব্যাগ সময় এই অ্যাপগুলির সাইজ কম হয় আর ওরিজিনাল অ্যাপের থেকে কিছু ফিচার কম থাকে। কিন্তু দেখতে আর ব্যবহারের ক্ষেত্রে অ্যাপগুলি একদম ওরিজিনাল অ্যাপের মতো।