যাকে আমরা সহজ ভাবে স্প্যাম মেসেজ/কল বলে থাকি, তার পোশাকি নাম আনসলিসিটেড কমার্সিয়াল কমিউনিকেশন। এটি টেলিকম মন্ত্রক তো বটেই, পাশাপাশি TRAI বা টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়ার পক্ষেও একটি দুশ্চিন্তার বিষয়। এই মর্মে প্রসাদ জানিয়েছেন যে সরকারের অধীন টেলিকমিউনিকেশন সংস্থা এবং বেসরকারি সংস্থা, যেমন, BSNL, Vi, Airtel, Reliance, সবাইকেই এই বিষয়ে লিখিত ভাবে সাবধান করা হয়েছে। যাতে এই সব নেটওয়ার্ক থেকে ফ্রডের মতো কোনও ঘটনা না ঘটে, সেই মর্মে জরিমানা ধার্য করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তার অঙ্কটাও নেহাত কম নয়, একেবারে ৩০ কোটি! কিন্তু শুধু জরিমানা করে দেশের মানুষের স্বার্থ সুরক্ষিত রাখা যায় না। সেই মর্মেই এই ডিজিটাল ইনটেলিজেন্স ইউনিট তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
প্রসঙ্গত, দেশে দিন দিন বেড়েই চলেছে নেটওয়ার্ক সিস্টেম ব্যবহার করে আর্থিক জালিয়াতির বিষয়টি। রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে দেশে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে স্প্যাপ, ক্রেডিট কার্ড, ডেবিট কার্ড জালিয়াতি সব মিলিয়ে ২২০ কোটি টাকা তছরুপের নজির প্রকাশ্যে এসেছে। সমীক্ষা এবং পরিসংখ্যান বলছে যে এই প্রবণতা দেশের জামতাড়া এবং মেওয়াটে সর্বাধিক। সেই দিক থেকে সরকারের এই উদ্যোগ যে দেশের মানুষকে স্বস্তি দেবে, তা বলাই যায়!