সেই কারণে প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি ABS-কে স্ট্যান্ডার্ড ফিচার হিসেবে তৈরি করার জন্য নিজেদের সেরাটা দিয়ে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও আজও এমন অনেক বাইক এবং স্কুটার রয়েছে, যেগুলিতে এই প্রয়োজনীয় ফিচার নেই। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতে চলাচলকারী সমস্ত ২ চাকার গাড়িতে এই ফিচারটি থাকতেই হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক। আর এই ফিচারটি রাইডারদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
advertisement
দুই চাকার গাড়ির যাত্রীদের নিরাপত্তা আরও বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে সড়ক পরিবহণ মন্ত্রক আগামী বছরের জানুয়ারি মাসের পরে তৈরি সমস্ত নতুন স্কুটি, বাইক এবং মোটরসাইকেলের জন্য Anti-Lock Braking System (ABS) বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সেই সমস্ত ২ চাকার গাড়ির ইঞ্জিন ক্ষমতা নির্বিশেষে এটি বাধ্যতামূলক করার এই সিদ্ধান্ত। এখানেই শেষ নয়, মন্ত্রকের তরফে খুব শীঘ্রই প্রস্তুতকারী সংস্থা এবং ডিলারদের জন্য এটাও বাধ্যতামূলক করা হবে যে, বিক্রয়ের সময় দুই চাকার গাড়ির সঙ্গে যেন দুটি BIS-সার্টিফায়েড হেলমেট দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- ফাইভ স্টার থ্রি স্টার…! এসি-র স্টার বেশি হলে সত্যি কি কমে ইলেকট্রিক বিল? ‘সত্যিটা’ কী?
কেন এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হল?
বর্তমানে পথ দুর্ঘটনা এবং তার জেরে মৃত্যুর হার ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। খবরের কাগজ কিংবা খবরের চ্যানেল খুললেই এহেন ঘটনা হামেশাই চোখে পড়ে। আর এই দুর্ঘটনা এবং দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান হার কমানোর জন্য এটি একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এর ফলে এখন আরোহীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে আরও এক ধাপ এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে সরকার। তাই বলে রাখা ভাল যে, অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম আর এখন বিলাসিতা হবে না। বরং প্রত্যেক বাইকেই তা ব্যবহার করা হবে।
বাইকের দাম বৃদ্ধি:
এটা নিশ্চিত ভাবে ববলাই যায় যে, অ্যান্টি-লক ব্রেকিং সিস্টেম যদি দুই চাকার গাড়িতে ইনস্টল করা হয়, তাহলে এর দাম অনেকটাই বেড়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে যে, ABS বাধ্যতামূলক হওয়ার ফলে বাইক কেনার সময় গ্রাহকদের অতিরিক্ত ৫০০০ টাকা থেকে ১০০০০ টাকা দিতে হবে।