একাধিক রাজনৈতিক মন্তব্যের ফলে পরিস্থিতি যাতে আরও খারাপ না হয়ে যায় তার জন্য এবার Google-এর তরফে Parler Social Networking App সাসপেন্ড করা হল। Google-এর পাশাপাশি Apple-ও এই ধরনের কনটেন্ট পাবলিশে ওয়ার্নিং দিয়েছে অ্যাপটিকে।
ক্যাপিটাল বিল্ডিংয়ে হামলার পর গোটা বিশ্বে নিন্দিত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এই হিংসায় কার্যত ঘি ঢালার অভিযোগে এবং পরিস্থিতি আরও খারাপ করার অভিযোগে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া সাইট থেকে ইতিমধ্যেই তাঁর অ্যাকাউন্ট ব্যান করে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে, ট্যুইটার (Twitter) থেকে তাঁর অ্যাকাউন্ট সারা জীবনের জন্য ব্যান করা হয়েছে। ট্যুইটার, ফেসবুক (Facebook)-এর পাশাপাশি এই ধরনের হিংসাত্মক কথা, রাজনৈতিক দ্বেষ ছড়াচ্ছে টেলিগ্রাম (Telegram), গ্যাব (Gab) ও পারলারেও (Parler)। যার ফলে এই প্ল্যাটফর্মগুলিতেও রাশ টানা শুরু হয়েছে।
advertisement
এদিকে, ট্রাম্পের সমর্থক এবং যাঁরা এই ঘটনাটিতে প্ররোচনা দিচ্ছে, তাঁদেরও অ্যাকাউন্ট ব্যান করা হয়েছে। কনটেন্টের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ এনেছে অনেক সংস্থা। গতকাল Apple-এর তরফে Parler Social Networking App-কে ২৪ ঘণ্টার সময় দেওয়া হয়েছে। কারা কারা এই অ্যাপ ব্যবহার করে বুধবারের ঘটনায় হিংসা ছড়াচ্ছে, তা খুঁজে বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলির সিদ্ধান্ত এবং দু'টো অন্যতম বড় অ্যাপ ডাউনলোড সংস্থার এমন পদক্ষেপের পর স্বভাবতই এই ধরনের কনটেন্ট ছড়াতে সমস্যায় পড়তে হবে বিক্ষোভকারীদের বলে আশা করা হচ্ছে। Google ও Apple-এর এই সিদ্ধান্তের পর Parler অ্যাপের কর্নধার জন মাৎজে জানাচ্ছেন, Apple Parler-এর স্ট্যান্ডার্ডস জানতে অ্যাপ্লাই করেছে।
এ দিকে এ বিষয়ে Google জানাচ্ছে, Google Play Store-এ যে অ্যাপগুলি অনুমতি পায়, তার সবগুলিতেই যেন কোনও হিংসাত্মক কনটেন্ট না থাকে, বা এই ধরনের কন্টেন্ট প্রোমোট না করা হয়, সে বিষয়ে দেখা হয়। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের সুরক্ষার স্বার্থে এই ধরনের অ্যাপগুলি সাময়ির ভাবে সাসপেন্ড করা হচ্ছে।
Apple Parler অ্যাপকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সমস্ত বিতর্কিত কন্টেন্ট মুছে ফেলতে বলেছে। যদিও এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চায়নি Apple।