সাইবার জালিয়াতির ঘটনা প্রতিদিন বাড়ছে। গুগলকে কাজে লাগিয়েই দিব্যি চলছে এই কারবার। প্রতারকরা অধিকাংশ সময় এমন সব কৌশল ব্যবহার করেন, সাধারণ ইউজারের পক্ষে যা বোঝা মুশকিল। একটা ভুলেই ফাঁকা হয়ে যায় অ্যাকাউন্ট। সর্বস্বান্ত হয়ে যান ইউজার। কিন্তু কোনও সাইট আসল না কি ভুয়ো, তা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্সের পক্ষে সহজেই শনাক্ত করা সম্ভব। তবে এই ফিচার এখনও চালু হয়নি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর্যায়ে রয়েছে। টেক বিশেষজ্ঞদের অনুমান, লেটেস্ট ক্রোম আপডেটে এই ফিচার চলে আসতে পারে।
advertisement
গুগলের এই ফিচার যে যুগান্তকারী হতে চলেছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। কারণ এটা রিয়েল টাইম সুরক্ষা দেবে। কোটি কোটি ইউজার প্রতারকদের হাত থেকে রক্ষা পাবেন। সবচেয়ে বড় কথা, ব্যক্তিগত তথ্য এবং সম্পদ সুরক্ষিত থাকবে। সম্প্রতি ওয়েডিং কার্ড স্ক্যাম এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ। গুগল এই ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনতে সক্ষম।
কীভাবে কাজ করবে গুগলের এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স ফিচার? আপাতত যা জানা গিয়েছে তা হল, যে কোনও অ্যাপ বা ওয়েবসাইট কতটা বিশ্বাসযোগ্য, তা এই ফিচারের মাধ্যমে জেনে যাবেন ইউজার। নিমেষের মধ্যে সাইটের বিশদ তথ্য হাতে চলে আসবে। সেগুলো দেখে সহজেই বিশ্লেষণ করা যাবে। পাশাপাশি এআই-ও জানিয়ে দেবে। Trust Pilot, Scam Advisor এবং Google-এর মতো প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে ওয়েবসাইট সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য ইউজারের হাতে আসবে।
ইতিমধ্যেই Play Protect ফিচার নিয়ে এসেছে গুগল। Play Store থেকে ডাউনলোড করতে পারেন ইউজার। কোনও অ্যাপ বিপজ্জনক কি না, তা সহজেই বোঝা যায়। অ্যান্ড্রয়েড ফোনে ডাউনলোডের আগে সতর্ক হয়ে যান ইউজার। এছাড়া অ্যাপ সাইডলোডিং নিয়েও পুরনো অবস্থান থেকে সরে এসেছে টেক জায়ান্ট সংস্থা, যা ওপেন সোর্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহারের বিশেষ বৈশিষ্টগুলির মধ্যে অন্যতম।