প্রতিরক্ষা সূত্র সংবাদসংস্থা এনআইএ-কে জানিয়েছে, যে কোনও রকম নাশকতার মোকাবিলায় তৈরি রয়েছে সেনা। মোতায়েন করা হচ্ছে ‘এয়ার ডিফেন্স মিসাইল’। শুধু তাই নয়, কাউন্টার ড্রোন সিস্টেমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জি২০ সম্মেলন চলাকালীন দিল্লির পাশাপাশি গোটা উত্তরাঞ্চলের উপরেই নজরদারি চালানো হবে। আকাশে থাকবে ‘এয়ারবর্ন ওয়ার্নিং অ্যান্ড কন্ট্রোল সিস্টেম’। বিধ্বংসী ক্ষমতার কারণে ‘আওক’কে ‘আকাশ কি নজর’ও বলা হয়।
advertisement
দিল্লি জুড়ে সার্ভিলেন্স বিমান এবং ‘নেত্র’ নিয়মিত নজরদারি তো চালাবেই। ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ড এবং সাউথ ওয়েস্টার্ন এয়ার কমান্ডের আওতাধীন এলাকা-সহ রাজধানীর আশেপাশের বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরকেও ‘অপারেশনাল রেডিনেস প্ল্যাটফর্ম মোডে’ প্রস্তুত করা হচ্ছে। জি২০ সম্মেলনে আমেরিকা, সৌদি আরব, জাপান, ফ্রান্স, জার্মানির রাষ্ট্রপ্রধানরা ছাড়াও কানাডা, ব্রিটেন ও ইতালির প্রধানমন্ত্রীও উপস্থিত থাকবেন। তাই নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক রাখতে চাইছে না কেন্দ্র।
রাজধানীর আকাশ নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলতে ভারতীয় বায়ুসেনার গ্রাউন্ড এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেমের পাশাপাশি মাঝারি পাল্লার সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (এমআরএসএএম) এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমও মজুত রাখা হচ্ছে। এটা ৭০-৮০ কিমি দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুকে নিখুঁত আঘাত হানতে পারে। আকাশ এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম রাখা হয়েছে বিশেষ স্ট্র্যাটেজিক পয়েন্টে, যাতে যে কোনও হুমকি মোকাবিলা করা যায়।
জি২০ সম্মেলন চলাকালীন রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এবং সংবেদনশীল এলাকাগুলি পাহারা দেবে ভারতীয় সেনার বিশেষ বাহিনী। গত কয়েক বছরে এই প্রথম একাধিক দেশের রাষ্ট্রনেতা ভারতে উপস্থিত হচ্ছেন। তাঁদের নিরাপত্তায় তাই হাই অ্যালার্ট। সর্বোচ্চ বিমান প্রতিরক্ষা প্রোটোকল জারি করা হয়েছে। সম্মেলনের জন্য দিল্লির কাছে হিন্দন, আম্বালা, সিরসা, ভাথিন্ডা, আদমপুর-সহ বেশ কয়েকটি বিমানবন্দরকে বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে।