আসল কারণ অবশ্যই বৃষ্টি। বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমে থাকতে পারে, অথবা কাদা হয়ে থাকতে পারে। তাই দ্রুত গতির গাড়ি হঠাৎ ব্রেক কষে দিলে চাকা পিছলে যাওয়ার আশঙ্কা খুব বেশি থাকে। সতর্ক থাকতে হবে।
দুর্ঘটনা এড়ানোর কৌশল—
১. বর্ষাকালে রাস্তা এমনিতেই ভেজা থাকে। তারপর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার অবস্থাও খারাপ থাকে। তাই অনেক সময়ই কাদা জমে থাকে। রাস্তার মাঝে গ্রিপও থাকে না। সেই অবস্থায় দ্রুতগতির কোনও গাড়ি হঠাৎ ব্রেক কষলে চাকা পিছলে যেতে পারে। তাই বৃষ্টির সময় বা পরে রাস্তা ভেজা থাকলে গাড়ির গতি কম রাখাই সব থেকে ভাল উপায়।
advertisement
আরও পড়ুন- দারুণ খবর! আয়ু বাড়ল চন্দ্রযান ৩-এর, প্রোপালশন মডিউলে বেঁচেছে ১৫০ কেজি জ্বালানি
২. রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বহু রাস্তাই খানাখন্দে ভরা থাকে। বর্ষাকালে রাস্তা ভেঙেও যায় অনেক বেশি। বৃষ্টির জল জমলে তো কথাই নেই। অনেক সময়ই বোঝা যায় না জল জমা রাস্তায় কোথাও গর্ত রয়েছে কিনা। এই সব এলাকায় গাড়ি নিয়ে যাতায়াত করার সময় অতিরিক্ত সতর্কতা প্রয়োজন, কারণ এখানে খুব সহজেই গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে। পারলে এমন রাস্তা এড়িয়ে চলাই ভাল। না হলে খুব ধীরে, সতর্ক ভাবে গাড়ি চালাতে হবে।
৩. গাড়ির রক্ষণাবেক্ষণও জরুরি। বিশেষত চাকার দিকে নজর দিতে হবে। নিয়মিত টায়ার পরীক্ষা করতে হবে, প্রয়োজনে তা বদলে ফেলতে হবে। বিশেষত বর্ষাকালে। ভেজা রাস্তায় জীর্ণ টায়ার দিয়ে গাড়ি চালালে বিপদ বাড়তে পারে।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন প্রায় ১১,০০০ কিলোমিটার চলার পরে নিয়মিত গাড়ির টায়ার রোটেট ও ব্যালান্স করা প্রয়োজন।
৪. বর্ষাকালে যেকোনও রাস্তাতেই গাড়ির গতি কম রাখতে হবে। নির্ধারিত গতিসীমার চেয়ে অন্তত ১০-১৫ কিলোমিটার কম গতিতে গাড়ি চালানই ভাল। তাছাড়া, হঠাৎ গতি বাড়িয়ে ফেলার প্রবণতাও মারাত্মক হতে পারে।
৫. বর্ষাকালে কখনই গাড়ির ক্রুজ ফাংশন ব্যবহার করা যাবে না। যদি কেউ ক্রুজ ফাংশন চালু রেখে হাইড্রোপ্লেন চালু করেন, তাহলে নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেতে সময় লাগবে। কারণ আগে ফাংশনটি বন্ধ হবে।