আরও পড়ুনঃ রেস্তোরাঁয় দেওয়া হয় কিন্তু তাতেই শরীরের চরম সর্বনাশ! ড্রাই আইসের আসল রূপ জানলে ভয় পাবেন
এমনটাই বলছেন ইপ্লেন কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা এবং ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ মাদ্রাজের অ্যারোস্পেস ইনজিনিয়ারিংয়ের বিশিষ্ট বাঙালি বিজ্ঞানী সত্য চক্রবর্তী। ভারতের প্রথম ফ্লাইং ট্যাক্সি e200-র কাজ কতদূর এগোল সেই নিয়েও মন্তব্য করেন তিনি।
advertisement
নিউজ ১৮-কে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী e200-র ডিজাইন, নিরাপত্তা এবং শহরের পরিবহনে এর প্রভাব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। দেশ যানজট কবলিত রাস্তায় ফ্লাইং ট্যাক্সি যে মিরাক্যল ঘটাবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সত্য চক্রবর্তী বলেন, ‘ছোট জায়গায় অবতরণের জন্য কমপ্যাক্ট ডিজাইন করা হয়েছে। একবার ব্যাটারি চার্জেই যাতে একাধিকবার স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম করা যায়, সেদিকটাও খেয়াল রাখা হয়েছে’।
ইপ্লেনের সাবস্কেল প্রোটোটাইপ e50-এর পরীক্ষামূলক উড়ান সফল হয়েছে। এবার ফুল স্কেল প্রোটোটাইপটিকে অক্টোবর-নভেম্বর নাগাদ পরীক্ষা করে দেখা হবে। ভারতের বিমান ল্যান্ডস্কেপে যে ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে বলাইবাহুল্য।
ফ্লাইং ট্যাক্সিতে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে যাত্রী নিরাপত্তায়। সেই অনুযায়ী আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে ডিজাইন করা হয়েছে। চরম পরিস্থিতিতে সম্ভাব্য ভুলগুলোও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেমন জরুরী পরিস্থিতিতে যাত্রী সুরক্ষায় প্যারাসুট এবং ইনফ্ল্যাটেবলের মতো জরুরি ব্যবস্থার উপর জোর দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, উড়ানের সময় স্থিতিশীলতা এবং নিয়ন্ত্রণের জন্য ভার্টিকাল রোটর এবং অ্যারোডাইনামিক ডিজাইন নীতির মতো উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
কিন্তু ফ্লাইং ট্যাক্সি কি সবাই ব্যবহার করতে পারবেন? ভাড়া কত হবে? অধ্যাপক সত্য চক্রবর্তী বলছেন, উবেরের দ্বিগুণ ভাড়া হবে ফ্লাইং ট্যাক্সিতে। মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যেই। সমাজের সব স্তরের মানুষ যাতে ফ্লাইং ট্যাক্সি ব্যবহার করতে পারেন, সেদিকটা মাথায় রেখেই ভাড়া ঠিক করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।