নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা, AI চ্যাটবটগুলির গোপন ব্যবহার সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। কৃত্রিম মেধার অপব্যবহারে অত্যাধুনিক সাইবার আক্রমণ বিকাশিত হতে পারে বলে আশঙ্কা। তথ্য হোক বা অর্থ— যে কোনও কিছুই হারাতে পারে নিরাপত্তা, এমনই আশঙ্কা করছে FBI।
আরও পড়ুন: দেশে এল আধুনিক ফিচার যুক্ত কোম্পানির মিড রেঞ্জের ফোন, কেমন হয়েছে Oppo A78?
advertisement
গত এক বছরে কৃত্রিমমেধাকে DeepFakes হিসেবে ব্যাপক ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু AI চ্যাটবটগুলি আরও বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিশেষত প্রযুক্তির উন্নতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, ভুল চিহ্নিত করার সাবেক পন্থাগুলি সহজেই এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে হ্যাকারদের পক্ষে। ফলে বিপদ বাড়ছে। বিশেষত, তাঁদের জন্য যাঁরা এই প্রযুক্তিগত ক্ষেত্রে খানিকটা অজ্ঞ।
আরও পড়ুন: ChatGPT, Google Bard-কে জোর ধাক্কা! বাজারে এল Meta-র বিনামূল্যের এআই মডেল
সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে FBI-এর এক কর্মকর্তার বলেছেন ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে AI মডেল যত বেশি মানুষ ব্যবহার করবেন, এই প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে।’
ঘটনা হল প্রযুক্তির ভাল এবং খারাপ— দু’টি দিকই থাকবে। কৃত্রিম মেধার মতো উন্নত প্রযুক্তি ভুল হাতে পড়লে সব সময়ই বিপর্যয় সৃষ্টির আশঙ্কা থাকবে। হ্যাকারের কাছে AI-এর ভয়েস জেনারেটর বা AI ভিডিও এডিটর-এর মতো টুল থাকলে খুব সহজেই ছদ্মবেশ ধারণ করে লোক ঠকানো যাবে। প্রতারক এবং স্ক্যামারদের উৎসাহও বহুগুণ বেড়ে যাবে। সেই দিন খুব দূরে নয়, বরং ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে AI-কেন্দ্রিক এই সব জালিয়াতি।
সম্প্রতি, কেরলের বাসিন্দা এক ব্যক্তি একটি ফোন কল পেয়েছেন। সেই কল তাঁর পরিচিত এক বন্ধু কাছ থেকে এসেছে বলে মনে করেছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু তা আসলে ছিল প্রতারকদের। ওই ব্যক্তিকে তারা ৪০ হাজার টাকা পাঠাতে অনুরোধ করে। বন্ধুর বিপদ ভেবে তা পাঠিয়েও দেন তিনি। কিন্তু আসলে জালিয়াতির শিকার হয়েছেন না বুঝেই।
জালিয়াতরা AI প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুয়ো ম্যানিপুলেশন সফটওয়্যারের সাহায্যে এমন ফাঁদ পাতছে যে, শিকারের পক্ষে বোঝা সম্ভবই হচ্ছে না অপর প্রান্তে যিনি রয়েছেন তিনি সত্যি তাঁর পরিচিত কি না!
বিশেষজ্ঞরা এমন ঘটনায় আদৌ অবাক হননি। বরং পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে তাঁদের আশঙ্কা। সেই কারণেই FBI-এর সতর্কতা জারি করতে চাইছে। এই ধরনের হাই-টেক স্ক্যামারদের সন্ধানে সারা বিশ্বে আইন প্রয়োগ করা দরকার বলে মনে করে তারা।