এতে ব্যবহার করা হয়েছে রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি আইডেন্টিফিকেশন প্রযুক্তি। ফ্যাস্ট্যাগের সঙ্গে লিঙ্ক করা ডিজিটাল ওয়ালেট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে টাকা কেটে নেওয়া হয়। ফ্যাস্ট্যাগ ব্যবহারের একাধিক সুবিধা রয়েছে। এর মেয়াদ এবং অন্যান্য বিষয়গুলিতেও চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।
আরও পড়ুন: এর মধ্যে FLAT কিনবেন ভাবছেন? তার আগে যে বিষয়গুলি মাথায় রাখা জরুরি জেনে নিন
advertisement
সময় বাঁচে: ফ্যাস্ট্যাগ চালুর ফলে টোল প্লাজায় আর থামতে হয় না। পড়ে না লম্বা লাইন। এতে সময় বাঁচে। জ্বালানী সাশ্রয় হয়।
রিচার্জ করা সহজ: ফ্যাস্ট্যাগের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, অনলাইনে সহজেই রিচার্জ করা যায়। ফ্যাস্ট্যাগ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্ক করা থাকে। শুধু টোল ফি স্বয়ংক্রিয়ভাবে কাটার জন্য পর্যাপ্ত ব্যালেন্স আছে কি না নিশ্চিত করতে হয়। এনএইচএআই ওয়ালেটের মাধ্যমেও টোল ফি দেওয়া যায়। এই প্রিপেইড ওয়ালেট ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং, ডেবিট কার্ড, চেক, ইউপিআই,এনইএফটি ইত্যাদির মাধ্যমে রিচার্জ করা যেতে পারে।
বৈধতার মেয়াদ পাঁচ বছর: একটি ফ্যাস্ট্যাগ পাঁচ বছরের দীর্ঘমেয়াদি বৈধতা প্রদান করে। এই সময়ে নগদহীন টোল পেমেন্ট করতে পারেন চালক। তবে সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং এনএইচএআই ওয়ালেটে পর্যাপ্ত ব্যালেন্স থাকতে হবে।
সহজ নিবন্ধন প্রক্রিয়া: ফ্যাস্ট্যাগের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াও খুব সহজ। ব্যাঙ্ক, নির্বাচিত দোকান, বা পিওএস-এ গিয়ে ফ্যাস্ট্যাগের রেজিস্ট্রেসন করা যায়। চাইলে ফ্যাস্ট্যাগ ইস্যুকারী ব্যাঙ্কে গিয়ে অনলাইনেও রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন চালক।
পরিবেশবান্ধব: ফ্যাস্ট্যাগের ফলে কাগজের ব্যবহার বন্ধ হয়েছে। অর্থাৎ নগদ লেনদেনে যে রসিদ দেওয়া হত, এতে তা হয় না।
খরচের হিসেব রাখা সহজ: ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট বা প্রিপেড ওয়ালেট থেকে টোল ফি কেটে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে নিবন্ধিত মোবাইল নম্বরের পাশাপাশি ইমেলে বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়। এটা ফ্যাস্ট্যাগ স্টেট্মেন্ট বা ফ্যাস্ট্যাগ পোর্টালের মাধ্যমেও দেখা যায়। ফলে টোল ফি-তে কত খরচ হচ্ছে সহজে তার হিসেব রাখা যায়।
মাসিক ভ্রমণ পাস: যারা ঘনঘন ভ্রমণ করেন তাঁরা অনলাইনে মাসিক পাসকে ফ্যাস্ট্যাগ পাসে বদলে নিতে পারেন।