আরও পড়ুন- দেশের সব থেকে সস্তা মোটরবাইক, এক লিটার পেট্রোলে চলবে ৮৩ কিমি
ব্যাটারিতে চলা গাড়িতে কোনো ইঞ্জিন থাকে না। তা ছাড়া এই গাড়িতে যন্ত্রাংশের পরিমাণ কম। পেট্রোলচালিত গাড়িতে অনেক রকম যন্ত্রাংশ থাকে। কিন্তু ইভি-তে ব্যাটারি ওয়্যারিং ছাড়া তেমন কোনও বড় সমস্যা তৈরি হওয়ার সুযোগ কম। তবে এক্ষেত্রে একটি বড় সমস্যা রয়েছে। এই ধরণের গাড়িতে ইঞ্চিন, এক্জস্ট থাকে না। ফলে গাড়ি কোনওরকম শব্দ করে না। একেবারে নিঃশব্দে রাস্তায় চলাফেরা করবে। সেক্ষেত্রে ভারতের মতো জনবহুল দেশে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।
advertisement
নিরাপত্তার ব্যাপার-
আসলে ব্যাপারটা এখানে নিরাপত্তার। ভারতে যেমন বৈদ্যুতিক গাড়ি বাড়ছে, তাই এই নিয়ে নতুন উদ্বেগও বাড়ছে। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার কারণে কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ভাবছে। ভারত সরকার বৈদ্যুতিক যানবাহনে কৃত্রিম শব্দ বা নকল শব্দ দেওয়ার কথা ভাবছে। যাতে রাস্তার বাকি যানবাহনের জন্য এটি বিপদ না বাড়িয়ে দেয়! তবে সরকার মূলত পথচারীদের কথা ভেবেই সিদ্ধান্ত নিতে পারে। বৈদ্যুতিক গাড়ির চলাচলের শব্দ শুনতে না পেলে অনেক সময়ই দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
আরও পড়ুন- মধ্যবিত্তের জন্য ইলেকট্রিক গাড়ি লঞ্চ করছে MG Motors, জেনে নিন কত হবে দাম!
নকল আওয়াজের ব্যবস্থা-
মিনিস্ট্রি অফ হেভি ইনডাস্ট্রিজ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে এর সমাধান খুঁজতে বলেছে। ইভিতে নকল আওয়াজ দেওয়ার কথা ভাবতে শুরু করেছে সরকার। এক্ষেত্রে ইভির সঙ্গে একটি ডিভাইস দেওয়া হবে, যার নাম হতে পারে অ্যাকোস্টিক ভেহিকল অ্যালার্ট সিস্টেম। এই প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই অনেক দেশে ব্যবহার করা হচ্ছে এবং ভারতে শীঘ্রই এই যন্ত্র ব্যবহারের আইন আনা হতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রতিটি সংস্থাকে তাদের ইভি মডেলে এই যন্ত্র লাগিয়ে দিতে হবে। গাড়ি যখন চলবে এই যন্ত্র থেকে কৃত্রিম আওয়াজ বেরোবে।