লাইসেন্স ছাড়া গাড়ি চালালে মোটা অঙ্কের জরিমানা হতে পারে। শুধু তাই নয়, আইনি জটিলতাতেও পড়ার সম্ভাবনাও থাকে। অনেক সময় দেখা যায়, লাইসেন্স থাকার পরেও ট্র্যাফিক পুলিশ চালান কাটে। এর প্রধান কারণ হল লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া। মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালানো মানে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন। তাই সময়মতো ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করানো গুরুত্বপূর্ণ।
advertisement
অনেকে মনে করেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করানো ঝামেলার কাজ। তা একেবারেই নয়। খুব সহজে বাড়িতে বসেই ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করা যায়। এই প্রক্রিয়াও অত্যন্ত সহজ। এখানে ধাপে ধাপে পুরো প্রক্রিয়ার হদিশ দেওয়া হল।
আরও পড়ুন- ৫ মিনিটে চার্জ! টেসলাকে টক্কর চিনা কোম্পানির ইভি-এর, চড়চড়িয়ে বাড়ল শেয়ারদর
ড্রাইভিং লাইসেন্স নবীকরণের জন্য যে যে নথিপত্র লাগবে:
পুরানো ড্রাইভিং লাইসেন্স
আবেদন ফর্ম (ফর্ম ৯)
বয়সের প্রমাণপত্র (Age Certificate)
ঠিকানার প্রমাণপত্র (Address Proof)
পাসপোর্ট সাইজ ছবি
ফর্ম ১A (মেডিক্যাল সার্টিফিকেট) – যদি চালকের বয়স ৪০ বছরের বেশি হয়, তাহলে সরকারি চিকিৎসকের কাছ থেকে মেডিক্যাল সার্টিফিকেট নিতে হবে এবং ফর্ম ১A জমা দিতে হবে।
ফর্ম ১ – যদি বয়স ৪০ বছরের কম হয়, তাহলে শুধুমাত্র ফর্ম ১ জমা দিলেই হবে।
নির্ধারিত ফি – অনলাইনে নবীকরণের জন্য নির্দিষ্ট ফি পরিশোধ করতে হবে।
অনলাইনে আবেদন: পরিবহন দফতরের সরকারি ওয়েবসাইটে গিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করার জন্য আবেদন ফর্ম পূরণ করুন।
প্রয়োজনীয় নথি আপলোড: উপরের সমস্ত প্রয়োজনীয় নথিপত্র স্ক্যান করে আপলোড করুন।
নির্ধারিত ফি পরিশোধ: অনলাইনে ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড বা UPI-এর মাধ্যমে নির্দিষ্ট ফি প্রদান করুন।
বায়োমেট্রিক এবং যাচাই (Verification): আবেদন জমা দেওয়ার পর RTO (আঞ্চলিক পরিবহন দফতর)-এর কর্মকর্তারা নথি যাচাই করবেন। প্রয়োজনে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের জন্য চালককে ডাকা হতে পারে।
নবীকরণ সম্পন্ন: যাচাই প্রক্রিয়ার ড্রাইভিং লাইসেন্স নবীকরণ করে ইস্যু করা হবে এবং নতুন লাইসেন্স ঠিকানায় ডাকযোগে পাঠানো হবে।
কেন লাইসেন্স রিনিউ করানো জরুরি: লাইসেন্সের বৈধতা শেষ হয়ে গেলে সেটি আইনগতভাবে অবৈধ হয়ে যায়। সেই লাইসেন্স নিয়ে গাড়ি চালালে ট্র্যাফিক পুলিশ জরিমানা করতে পারে। তাই সমস্যা এড়াতে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ড্রাইভিং লাইসেন্স রিনিউ করিয়ে রাখাই ভাল।