ফোনের ব্যাটারি খুব তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে গেলে তা খুবই বিরক্তিকর হয়ে ওঠে। ব্যাটারি ডেড হওয়া মানে ভাল ফোন আবর্জনায় পরিণত হওয়া। আমরা সকলে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছি যে, আমরা নতুন স্মার্টফোনের বেশি যত্ন নিয়ে থাকি। কিন্তু, ফোন একটু পুরনো হতে শুরু করলে, আমরা নানা ধরনের গাফিলতি করতে শুরু করি।
আরও পড়ুন- বৃষ্টিতে গাড়ি চালানো মানে ঝুঁকি! একটি আলু জীবন বাঁচাতে পারে, দুর্ঘটনা হবে না
advertisement
যখন ফোনের চার্জিংয়ের কথা আসে, তখন প্রায়শই আমাদের আশেপাশে দেখা যায় যে, কিছু লোক এমন আছেন, যখনই তাঁদের ফোন একটু ডিসচার্জ হয়ে যায়, তাঁরা ফোন চার্জে বসিয়ে দেন। এর পাশাপাশি, অনেকে এমন আছেনঁ যারা ফোনটি চার্জে রাখার কিছুক্ষণ পরেই আবার চার্জ বন্ধ করে দেন এবং এই প্রক্রিয়া চলতেই থাকে।
কিন্তু, অনেকেই জানেন না যে তাঁদের এই অভ্যাসের কারণেই ফোন খারাপ হতে শুরু করে। ফোন চার্জ দেওয়ার একটি সঠিক উপায় রয়েছে। কেউ যদি বার বার ফোন চার্জ দিতে থাকেন, তাহলে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ব্যাটারি নষ্ট হয়ে যাবে। সেই কারণেই জেনে নেওয়া প্রয়োজন যে, দিনে কতবার ফোনে চার্জ দেওয়া যেতে পারে।
ব্যাটারিকে ২০% বা তার বেশি নিচে নামতে দেওয়া উচিত নয় এবং সম্পূর্ণরূপে ব্যাটারি ডিসচার্জ করা এড়িয়ে চলা উচিত। ব্যাটারি স্তর ৮০% (বা কম) এবং ১০০% এর মধ্যে হলেই চার্জার থেকে ফোনটি আনপ্লাগ করতে হবে৷ নিজেদের ফোনকে ১০০% লেভেলে দীর্ঘ সময়ে চার্জে রাখা উচিত নয় অর্থাৎ এটি সম্পূর্ণ চার্জ হওয়ার পরে চার্জার থেকে খুলে ফেলতে হবে।
বেশিরভাগ লোকেরা ২০-৮০ নিয়মটি গ্রহণ করার পরামর্শ দেন, যা অবশ্যই অনুসরণ করা যেতে পারে। ২০ মানে হল যখন ব্যাটারি ২০% পর্যন্ত ড্রেন হয়ে যায়, তখন এটি চার্জিংয়ে রাখা উচিত এবং ৮০ হল ৮০% হলে চার্জিং বন্ধ করে দেওয়া উচিত। অর্থাৎ যদি কারও ফোন দিনে দুবার ২০% ছুঁয়ে যায়, তবে সেই ফোন দুইবার চার্জে রাখতে হবে, এর বেশি নয়।
অনেকে নিশ্চয়ই লক্ষ্য করেছেন যে, তাঁদের ফোনের ব্যাটারি যখন ২০% হয়, তখনই ফোনে ‘লো ব্যাটারি’-র সতর্কতা চলে আসে। অর্থাৎ এর আগে ফোনটি আরামে চালানো যাবে। এছাড়াও, কেউ চাইলে ৪৫-৭৫ নিয়মও অনুসরণ করতে পারেন।