সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের তরফে জানানো হয়েছে যে, তেল মন্ত্রকের প্যানেলটি ভারতে ডিজেল চালিত গাড়ির বদলে বৈদ্যুতিক গাড়ি এবং গ্যাসের মাধ্যমে চালিত গাড়ির পক্ষে প্রস্তাব করেছে।
আরও পড়ুন- বাইকের ডিস্ক ব্রেক-এ ছোট ছোট ফুটো থাকে কেন? ৯৯% মানুষ আসল কারণ জানেন না
তারা জানিয়েছে যে শহরগুলিতে এক মিলিয়নেরও বেশি লোক বাস করে সেখানে এমন যানবাহন চালানো উচিত। জানা গিয়েছে যে, এই প্যানেলটি ডিজেল চালিত ফোর-হুইলার গাড়িও নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন শহরের দূষণ কমাতে এমন একটি প্রস্তাব করা হয়েছে।
advertisement
ভারত গ্রিনহাউস গ্যাসের অন্যতম প্রধান নির্গমনকারী এবং যানবাহন থেকে নির্গত গ্যাস এতে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস করতে ভারত সরকার ইতিমধ্যেই বেশ কিছু বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।
এর ফলে দূষিত গ্যাস নির্গমনের মূল অবদানকারী হিসাবে, অটোমোবাইল শিল্পও বিগত কয়েক বছরে বেশ কিছু সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। সম্প্রতি ভারতীয় তেল মন্ত্রকের একটি প্যানেলের করা নতুন প্রস্তাব গ্রিনহাউস গ্যাস হ্রাস কমানোর লক্ষ্যে করা হয়েছে।
বর্তমানে ডিজেল ভারতে পরিশোধিত জ্বালানি খরচের প্রায় দুই-পঞ্চমাংশ, যার ৮০ শতাংশ পরিবহন খাতে ব্যবহৃত হয়। দেশের বাণিজ্যিক যানবাহন প্রধানত ডিজেলে চলে, যাত্রীবাহী যানের একটি বড় অংশও একই জ্বালানিতে চলে।
তেল মন্ত্রকের প্যানেল জানিয়েছে যে, এই দশকের শেষ নাগাদ, কোনও জীবাশ্ম-জ্বালানি চালিত সিটি বাস ভারতে চালু রাখা উচিত নয়। প্যানেলের তরফে জানানো হয়েছে যে, ভারতে শুধুমাত্র বৈদ্যুতিক বাস চালু করা উচিত।
আরও পড়ুন- এসি-কুলারের দাম অনেক! গরমে ঘরে রেখে দিন এই ফ্যান, ঘর ঠান্ডা হবে কয়েক মিনিটে
তারা জানিয়েছে যে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতে এমন কোনও সিটি বাস চালু করা উচিত নয় যা বৈদ্যুতিক নয়। শহরের পরিবহনের জন্য ডিজেল বাসও চালু করা উচিত নয় ২০২৪ সাল থেকে।
প্যানেল আরও জানিয়েছে যে, সরকারের ৩১ মার্চের পরেও বৈদ্যুতিক এবং হাইব্রিড যানবাহন স্কিমের মাধ্যমে দ্রুতগতির বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য সাবসিডির লক্ষ্যমাত্রা সম্প্রসারণের বিবেচনা করা উচিত। প্যানেল বিশ্বাস করে যে, এই ধরনের পদক্ষেপ ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারকে উৎসাহিত করবে।