তাই স্মার্টফোনে লেনদেনের সময় সবচেয়ে বেশি সতর্ক হতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ মোবাইলের মাধ্যমে কেনাকাটা করলে বা বিল মেটানোর সময় স্মার্ট ফোনটাই ভার্চুয়াল মানি ওয়ালেটে পরিণত হয়। এই পরিস্থিতিতে হ্যাকারদের কাজ হয়ে যায় সহজ। তাই সবার আগে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। ইউপিআই লেনদেনের সময় ৬টি বিষয় মাথায় রাখলে প্রতারণার সম্ভাবনা কমে যায়।
advertisement
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড
ব্যাঙ্ক বাজার ডট কমের সিইও আদিল শেঠি বলছেন, জিমেল, ইউপিআই, নেট ব্যাঙ্কিংয়ের পাসওয়ার্ড শক্তিশালী এবং আলাদা করতে হবে। একই পাসওয়ার্ড দিয়ে সব কাজ করা উচিত নয়। কোনও সন্দেহ থাকলে তৎক্ষণাৎ পাসওয়ার্ড এবং পেমেন্ট পিন সেট বদলে ফেলতে হবে।
স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ নৈব নৈব চ
স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপ ব্যবহার না করাই ভালো। একান্ত প্রয়োজনে ব্যবহার করতে হলেও ইউপিআই অ্যাপে অ্যাক্সেস দেওয়া যাবে না। এতে পাসওয়ার্ড, পিন, ওটিপি ফাঁস হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তেমন হলে সেটিংসে গিয়ে স্ক্রিন শেয়ারিং অ্যাপের জন্য ইউপিআই-কে লক করে রাখতে হবে।
কিউআর কোড যাচাই
কিউআর কোড দিয়ে টাকা পাঠানোর সময়, ঠিকভাবে স্ক্যান করার পরে যে নামটি আসে তা খেয়াল রাখতে হবে। যাকে অর্থ পাঠানো হচ্ছে, তার নাম আছে কি না তা যাচাই করে নিতে হবে। পেমেন্ট অন্য কারও অ্যাকাউন্টে যাচ্ছে কিনা বুঝে নিতে হবে সেটাও। প্রতারকরা প্রায়ই বড় ব্যবসায়ীদের কিউআর কোড তাদের নিজস্ব কিউআর কোড দিয়ে বদলে দেয়। এরফলে শুধু টাকাই ভুল জায়গায় যায় না, ব্যাঙ্কের বিবরণও প্রতারকদের কাছে চলে যায়।
মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠানো ঠিক নয়
মোবাইল নম্বরে টাকা পাঠানোর সময় ভুল নম্বর টাইপ করার সম্ভাবনা থাকে। টাকা পাঠানোর সময় ইউপিআই আইডি বা কিউআর কোড চেয়ে নেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। এতে অ্যাকাউন্টটাও যাচাই করা যায়।
আরও পড়ুন- অন্যকে বিরক্ত না-করে ইনস্টাগ্রামে পাঠানো যাবে মিউটেড ডিরেক্ট মেসেজ, জেনে নিন সেই উপায়
আপডেট করতে হবে নিয়মিত
নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করা চলবে না। ইউপিআই অ্যাপে সিকিউরিটি আপগ্রেড থাকে। যা গ্রাহককে নিরাপদে অ্যাপ ব্যবহারের সুবিধা দেয়। তাই নির্দিষ্ট সময় অন্তর ইউপিআই অ্যাপ আপডেট করা উচিত।
প্রয়োজনে একাধিক অ্যাপ
সাধারণত একটি অ্যাপ থেকেই সমস্ত রকম লেনদেন করা যায়। কিন্তু নিরাপত্তার জন্য একাধিক অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। টাকা পাঠানো বা লেনদেনে কোনও সমস্যা থাকলে অবিলম্বে সহায়তা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে হবে।